প্রতিদিনই আমাদের ফোনে বিভিন্ন ধরনের ম্যাসেজ আসতে থাকে। তথ্য জানানোর সুযোগের জন্য বর্তমানে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যমও হয়ে উঠেছে এই এসএমএস। স্মার্টফোনের এই যুগে এসএমএসের মাত্রা আরও বেড়েছে। সহজে বিভিন্ন বিভিন্ন জরুরি তথ্যও আসে স্মার্টফোনে। তবে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে এই এসএমএস ব্যবহার করেন সাইবার অপরাধীরা। তারা বিভিন্ন কৌশলে ক্ষতিকর লিংকযুক্ত ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে তথ্য ও অর্থ চুরি করছে।
এসব বার্তায় থাকা লিংকে ক্লিক করলেই ব্যবহারকারীদের ফোনে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে ব্যক্তিগত বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দূরে থাকা সাইবার অপরাধীদের কাছে পাঠাতে থাকে। সাইবার অপরাধীরা সাধারণত যেসব কৌশল অবলম্বন করে ক্ষতিকর বার্তা পাঠিয়ে থাকে, সেগুলো জানা থাকলে রক্ষা পাবেন। মার্কিন লাইফস্টাইলবিষয়ক ম্যাগাজিন রিডার্স ডাইজেস্টের প্রতিবেদনে সাইবার অপরাধীদের পাঠানো এসএমএস চেনার উপায় দেয়া হয়েছে।
ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য: বর্তমানে প্রায় সময় ব্যাংক থেকে এসএমএস আসে। বিশেষ করে অর্থ লেনদেন করলে। এই সুযোগ নিচ্ছেন সাইবার অপরাধীরা। তারা সাধারণত ব্যবহারকারীকে বিভ্রান্ত করে প্রতারণা করে থাকে। তাই অনেক সময় ব্যবহারকারীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট লক হয়ে গেছে বা সাময়িকভাবে অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা হয়েছে, এ ধরনের বার্তা পাঠিয়ে বিভ্রান্ত করে থাকে তারা। শুধু তা–ই নয়, সমস্যা সমাধানে বার্তায় থাকা লিংকে ক্লিক বা নির্দিষ্ট ফোন নম্বরে কল করতেও বলে তারা। বার্তা লেখার ধরন ও ভাষা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে পাঠানো বার্তার মতো মনে হয় বকে অনেকেই বিভ্রান্ত হয়ে প্রতারিত হন। তাই ব্যাংকের নির্দিষ্ট ফোন নম্বর ছাড়া অন্য কোনো নম্বর থেকে এ ধরনের বার্তা এলে সেগুলো খোলা থেকে বিরত থাকতে হবে।
পণ্য পাঠানোর বার্তা: দামি উপহার এসেছে কুরিয়ার প্রতিষ্ঠানে। পণ্যটির সর্বশেষ অবস্থান দেখার পাশাপাশি সরবরাহের সময় নির্দিষ্ট করার প্রলোভন দেখিয়ে ক্ষতিকর লিংকযুক্ত ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে থাকে সাইবার অপরাধীরা। তাই এসব বার্তা থেকে সতর্ক থাকতে হবে।
মূল্যছাড়: মূল্যছাড়ে পণ্য কেনার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত বার্তা পাঠিয়ে থাকে সাইবার অপরাধীরা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচয়ে পাঠানো এসব বার্তায় থাকা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
সুত্রঃ Channel 24