বিগত বছরগুলোতে জানুয়ারির প্রথম মাসেই শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়ার প্রচলন থাকলেও, এ বছর সেই প্রক্রিয়ায় ছেদ পড়তে পারে। শিক্ষাক্রমের পরিবর্তন, কাগজ সংকট এবং পাণ্ডুলিপি দেরিতে পাওয়ার মতো নানা কারণে এ বছর জানুয়ারিতে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা নতুন বই পাবে না, এমন খবর পাওয়া গেছে।
গত কয়েক বছর ধরে পাঠ্যবইয়ের একাংশ ভারতে ছাপা হলেও, বর্তমান পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র দেশীয় ছাপাখানাগুলো বই ছাপানোর কাজ করছে। তবে ফেব্রুয়ারির আগে শিক্ষার্থীদের হাতে সব বই পৌঁছানো সম্ভব হবে না বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ছাপাখানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাধ্যমিক বইয়ের কাজ শুরু করতে তদারকি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন পেতে দেরি হয়েছে। এছাড়াও কাগজ সংকট, বিদ্যুৎ না থাকা এবং ব্যাংক ঋণ না পাওয়ার মতো সমস্যাগুলোর কারণে ছাপার কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।
সাধারণত জুনে নতুন বইয়ের পাণ্ডুলিপি ছাপাখানায় পাঠানো হলেও, এবছর ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে ২০১২ সালের পুরনো শিক্ষাক্রমের বই 'ঘষে-মেজে' নভেম্বরে প্রেসে পাঠানো শুরু হয়।
এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) জানালেও, আগামী বছরের জানুয়ারির শেষের দিকে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো সম্ভব হবে, তবে জানুয়ারির প্রথম মাসে বই পাওয়ার প্রচলন এবার ভাঙছে।
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেছেন, বই পৌঁছাতে কিছুটা দেরি হলেও, ফেব্রুয়ারিতে বই পৌঁছানো হবে না। আশা করা হচ্ছে, ২০ জানুয়ারির মধ্যে সব বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।