জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার:
উখিয়া-টেকনাফে একের পর এক অপহরণের ঘটনা ঘটে চলেছে। পাচারকারী চক্রের ফাঁদে পড়ে কখনো শিশু, কখনো যুবক, এমনকি বৃদ্ধারাও হচ্ছেন অপহরণের শিকার। তবে মুক্তিপণ দিয়ে উদ্ধার হলেও থামছে না এই অপহরণ বাণিজ্য।
সম্প্রতি আলোচিত ঘটনায় ৬ বছরের শিশু মোহাম্মদ আরাকান অপহরণের শিকার হয়। মুক্তিপণ দিয়ে উদ্ধার হলেও তাকে মাটিতে পুঁতে রাখার ভিডিও ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রত্নাপালং ইউনিয়নের জসিম উদ্দিন (২০) নামে এক যুবক অপহরণ হন।
জসিমের পরিবার জানায়, কাজের সন্ধানে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর এক সপ্তাহ ধরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্থানীয় এক মহিলার মাধ্যমে জানতে পারে, তাকে অপহরণ করা হয়েছে এবং মুক্তিপণ দাবি করা হচ্ছে।
অপহরণ চক্রটি মূলত অল্প খরচে সাগরপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যুবকদের ফাঁদে ফেলে। এদের মধ্যে একাধিক সিন্ডিকেট সক্রিয়।
পুলিশের প্রতিক্রিয়া:
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফ হোসেন জানান, "গত এক মাসে উখিয়াতে অপহরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে আমাদের জানা নেই। তবে তথ্যগুলো তদন্ত করা হচ্ছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"
টেকনাফ থানার অফিসার ইনচার্জ গিয়াস উদ্দিন বলেন, "আমাদের কাছে এ বিষয়ে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। তবে এই ধরনের ঘটনা প্রায়শই ঘটে। সহযোগিতার জন্য ভুক্তভোগীদের আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।"
সাধারণ মানুষের দাবি:
ভুক্তভোগী পরিবারগুলো অপহরণ ও মানবপাচার চক্রে জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
উখিয়া-টেকনাফের এই অপহরণ বাণিজ্য বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত এবং কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি বলে মনে করছেন এলাকাবাসী।