আল- মামুন, বগুড়া প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার ধুনট উপজেলার মাটিকোড়া গ্রামের আয়েশা আকতার আশা (১৮) ন্যায়বিচারের জন্য আদালতের বারান্দায় সন্তান কোলে নিয়ে কাঁদছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, ২০২৩ সালে নওগাঁর নজিপুর এলাকার সোহেল রানা নামক ব্যক্তির সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর তিনি তার নানীর বাড়িতে বসবাস করতেন এবং গর্ভবতী হওয়ার পর নানা সমস্যার মধ্যে পড়েন।
তিনি জানান, সন্তান প্রসবের জন্য সিজারের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে গ্রামের রফিকুল ইসলাম শাহীন নামক ব্যক্তির কাছ থেকে চিকিৎসার জন্য সহায়তা প্রস্তাব পান। পরে, শাহীন তাকে বগুড়ার শেরপুরে মাহবুব ক্লিনিকে নিয়ে যায়, সেখানে তিনি সন্তান প্রসব করেন। কিন্তু সন্তান জন্মের পর শাহীন, সালাম ও তাদের সহযোগীরা তার সন্তানকে উদ্ধার করে এবং তাকে না দিয়ে অন্যদের কাছে বিক্রি করে দেয়।
এ ঘটনায়, আয়েশা অভিযোগ করেন যে, তিনি এবং তার নানীকে জোর করে কিছু কাগজে স্বাক্ষর করানো হয় এবং ঘটনাটি প্রকাশ না করার জন্য হুমকি দেয়া হয়। তিনি বলেন, "আমি ন্যায় বিচার পাবই, যতদিন না ন্যায় পাই, আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।"
এদিকে, সমাজকর্মী ও শিক্ষক ফৌজিয়া হক বিথী জানান, তিনি আয়েশার পক্ষে দাঁড়িয়ে আইনি সহায়তা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন, কিন্তু শাহীন ও তার সহযোগীরা তাকে এবং তার পরিবারকে নানা হুমকি দিচ্ছে।
আয়েশা আরো জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর আলম প্রভাবশালী আসামীদের পক্ষে কাজ করে এবং সঠিক তদন্ত না করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। তিনি জানান, পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে শিশু সন্তানকে উদ্ধার করলেও তাকে ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত রেখেছে।
আইনজীবী রাজ্জাকুল কবির বিদ্যুত জানান, তারা মানব পাচারের মামলায় নারাজী দাখিল করবেন এবং আইনি লড়াই চালিয়ে যাবেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলাম শাহীন বলেছেন, পুলিশ তাকে বাদ দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে এবং তিনি ন্যায় বিচারের জন্য আদালতে যাবেন।