রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের রামপালে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোঃ আবু সাঈদের রাইস মিল থেকে ২৫ রাউন্ড শটগান এবং এক রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধারের ঘটনার পাঁচ দিন পরও পুলিশ কেবল দুজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বাকি আসামিরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছে, ফলে জনমনে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে।
১৮ জানুয়ারি, বাঁশতলী এলাকার এস কে আল মামুন (৩৯) নামের এক ব্যক্তি রামপাল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যাতে ২১ জন আসামির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাঈদসহ বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ নেতা রয়েছেন।
ঘটনার দিন, স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শেখ সাঈদের ছেলে ছাত্রলীগ নেতা মাতলুব হোসাইন এবং দৈনিক অভয়নগর পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার রাজিবকে আটক করে। অভিযোগ রয়েছে, আবু সাঈদ এবং তার সঙ্গীরা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে অস্ত্রসহ একত্রিত হয়ে গুলি চালিয়েছিল। পুলিশ উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে আত্মগোপনকারী আবু সাঈদ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, মিলের প্রধান গেট ভাঙার চেষ্টা করে হামলা চালানো হয়েছিল এবং তিনি রাজনৈতিক হয়রানির শিকার। সাংবাদিক রাজিবের স্ত্রীর দাবি, তার স্বামী পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই এ ঘটনার শিকার হয়েছেন এবং তাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
রামপাল থানার অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা জানিয়েছেন, অন্য আসামিদের আটক করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং শীঘ্রই তারা গ্রেফতার হবে।