বিতর্কিত সহকারী প্রধান শিক্ষক মো: হাদিস মিয়ার অপকর্মের প্রতিবাদে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা
মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হাদিস মিয়া তালুকদারের অপসারণের দাবিতে এক মানববন্ধ অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ১০:৩০ মিনিটে মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ বাজারে সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের শত শত বর্তমান- প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবক, এলাকার সচেতন নাগরিকগণ এক মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করে। তারা রাস্তার দুপাশে দাঁড়িয়ে হাদিস মিয়ার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগসহ তার অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। "হাদিস স্যারের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে "এ স্লোগানে মুখরিত করে তোলে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন।তাছাড়া শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, "শিক্ষকতা একটি পেশা নয়, এটি একটি দায়িত্ব। এটির যোগ্য হাদিস স্যার নন ।
তিনি অনেক অনেক শিক্ষার্থীকে অবৈধ উপায়ে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দিয়েছেন। উনি একজন নীতি হীন শিক্ষক। "মানববন্ধনে শিক্ষার্থী রিয়ামনি, ফৌজিয়া আক্তার, , অভিভাবক আইনাল হক সহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
তারা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাস করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ছাত্রীদের অনৈতিক কাজের কুপ্রস্তাব দেওয়া, জোরপূর্বক প্রাইভেট পড়ায় বাধ্য করা, নিয়মিতভাবে স্কুলে অনুপস্থিত থাকা, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে বাজে ব্যবহার করা সহ নানা অভিযোগ করেন। উক্ত বিক্ষোভ সমাবেশের সক্রিয় ছাত্র প্রতিনিধি ও উক্ত বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী মো: সিহাব খান পারভেজ বলেন""এমন জঘন্য অপকর্মে লিপ্ত থাকা মানুষটি কোনোভাবে আমাদের স্কুলে শিক্ষক হিসেবে থাকতে পারবে না। এবং সে নানাবিধ দুর্নীতির পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের নানান ভাবে হুমকি দেয়। তাই, আজ আমরা ছাত্রজনতা হাদিস স্যারের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে সোচ্চার হয়ে হাদিস স্যারের বিচার চাই। এবং হাদিস স্যারের বহিষ্কার চাই।
আমাদের দফা এক দাবী এক হাদিস স্যারের পদত্যাগ.! এবং এই অপকর্মে জড়িত থাকা হাদিস স্যারের পক্ষ যে নিবে, তার বিরুদ্ধেও রুখে দাড়াবো। অন্যায়ের বিরুদ্ধে একবিন্দু পরিমান ছাড় দেওয়া হবে না। ইনশাআল্লাহ উল্লেখ্য যে কয়েকদিন আগে অভিযুক্ত শিক্ষক হাদিস মিয়ার এক শিক্ষার্থীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার ফোন আলাপ ফাঁস হয়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের অপসারণ চেয়ে প্রধান শিক্ষকের অফিসের সামনে ভিড় করতে শুরু করে এবং অপসারণ না করলে তারা আর বিদ্যালয়ে আসবেন না বলে প্রধান শিক্ষককে হুশিয়ারি দেয়।
এরকম উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক সহ, অন্যান্য শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ মানবন্ধনে ভিক্ষুদ্ধকারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। প্রধান শিক্ষক আমিনুল হক কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে হাদিস মিয়া কে বহিষ্কারের প্রতিশ্রুতি দিলে শিক্ষার্থীগণ মানববন্ধন তুলে নেয়।