পাইকগাছায় সংবদ্ধভাবে জমি জবরদখলের বিচারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন
মোঃ রাজু আহম্মেদ পাইকগাছা প্রতিনিধি:
পাইকগাছায় বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী দারা সংবদ্ধভাবে মৎস্য ঘেরের জমি জবরদখল করার পায়তারায় ভুক্তভোগী পরিবারগুলো সম্মিলিতভাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় প্রেসক্লাব পাইকগাছা এর কার্যলয়ে উপস্থিত হয়ে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষে পার্শ্ববর্তী তালা থানার খেশরা ইউনিয়নের মৃত মঙ্গল মোড়লের ছেলে মোঃ আব্দুল করিম মোড়ল লিখিত বক্তব্য বলেন, আমরা দীর্ঘ প্রায় ১৫/২০ বছর ধরে পাইকগাছার হিতামপুর মৌজা ও তালা থানার খেশরা মৌজার সীমান্তবর্তী বিল এলাকায় এসএ ১১১১.৫১.১২০৫.৪৮১.১৩৬৬ খতিয়ান এবং বর্তমানে ডিপি ২৬০৭.১২৬০.২৫৯৩. ২৬৩৫ খতিয়ানে মোট ৮ একরের ও বেশি জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগদখল করে আসছি।
এমনকি চলমান ২০২৫ সাল পর্যন্ত সমস্ত জমির কর খাজনা পরিশোধ আছে। এছাড়া উক্ত জমি আমরা পাইকগাছা থানার গদাইপুর ইউনিয়নের মোঃ নজরুল গাজী, সরদার সাহেদ আহমেদ, মোঃ রাশেদ বিশ্বাস, সরদার ফারুক আহমেদ কে ৩ বছরের চুক্তিতে মৎস্য ও ধান চাষ করার জন্য হারী প্রদান করেছি। এমতাবস্থায় গত ইং- ৫ আগষ্ট সরকার পরিবর্তনের পর আমরা যাদেরকে জমি হারী প্রদান করেছি,
তাদের মাধ্যমে জানতে পারি পাইকগাছা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের মধ্যে গদাইপুর ইউনিয়নের সুবহান শেখের ছেলে হামিদ শেখ, কাসেম সরদারের ছেলে মোঃ মামুন সরদার, মাহবুব সরদার, কপিলমুনি ইউনিয়নের কাসিমনগরের সরজিত ঘোষ দেবেন, পৌরসভার ৫নং আরিফুল ইসলাম, পৌর ২ নং ওয়ার্ডের রুবেল হোসেন, বান্দিকাটি গ্রামের আমিন জোয়ার্দার, সুজন জোয়ার্দার, ঘোষাল গ্রামের রানা গাজী, গোপালপুর গ্রামের আলমগীর সহ আরো ১৫/২০ জন সংঘবদ্ধভাবে আমাদের এ জমি জবরদখলের পায়তারা করে আসছে।
এ ঘটনাটি আমরা জানার পর সেখানে খোঁজ খোবর নিতে যেয়ে দেখি আমাদের জমিতে বাঁধ বন্দী দিতে উপরে উল্লেখিত ব্যাক্তিরা বাঁধা সৃষ্টি করছে। এসময় আমরা তাদেরকে আমাদের জমিতে অন্যায় এবং জোরপূর্বক দখল নেওয়ার বিষয়ে নিষেধ করলেও তাহারা কোনো কর্নপাত না করেনি। সংবাদ সম্মেলনে করিম মোড়ল আরো বলেন, বর্তমানে তাহারা বহাল তবিয়তে জমি জবরদখলের পায়তারা চলমান রেখেছে।
তাছাড়া আমরা উপরে উল্লেখিত যাহাদের কে জমি হারী দিয়েছি তাদেরকে প্রান নাশের বিভিন্ন হুমকি ধামকি অব্যহত রেখেছে। একারণে জমির হারীদারেরা আমাদের সকল জমি ওয়ালাদের হারী পরিশোধ করবে না, বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এজন্য সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ভুক্তভোগীরা, জমি জবরদখল, হারীর টাকা না পাওয়া সহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছে।
সেকারণে বিএনপির স্থানীয় ও শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কাছে বিচারের দাবী জানিয়েছেন।