মাসফিকুল হাসান, বেরোবি প্রতিনিধি
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত এক শিক্ষার্থীর শাস্তি মওকুফ করায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টার মানোন্নয়ন পরীক্ষায় ইঞ্জিনিয়ারিং ফিজিক্স (PHY 1101) বিষয়ের পরীক্ষার সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করে নকল করতে গিয়ে কক্ষ পরিদর্শকের কাছে ধরা পড়েন ওই শিক্ষার্থী। এরপর তাকে শাস্তি দিয়ে বহিষ্কার করে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তর।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. তানজিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিশেষ বিবেচনায় ওই শিক্ষার্থীর শাস্তি একবারের জন্য মওকুফ করা হয়েছে। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সাধারণ শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা আন্দোলনের ঘোষণা দেন।
আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক শামসুর রহমান সুমন বলেন, "এক বছর আগে পরীক্ষায় মোবাইল নিয়ে নকল করার দায়ে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীকে রাজনৈতিক বিবেচনায় শাস্তি মওকুফ করা হয়েছে, যা প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।"
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান জানান, "শৃঙ্খলা বোর্ডের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নয়। একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেট অনুমোদন দিলে শিক্ষার্থীটি পুনরায় পরীক্ষায় বসতে পারবে।"
এদিকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. তানজিউল ইসলাম বলেন, "বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি এবং বিজ্ঞপ্তিতে কিছু ভাষাগত ভুল থাকায় সেটি রোববার সংশোধন করা হবে।"
এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরপেক্ষতা ও নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তবে প্রশাসন জানিয়েছে, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের অনুমোদন ছাড়া বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় বসতে পারবেন না।