বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোর মধ্যে অন্যতম মহাস্থানগড়। এখানে রয়েছে বহু রহস্যময় নিদর্শন, যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত বিখ্যাত খোদাই করা পাথর। লোককথা অনুযায়ী, সাতটি হাতি দিয়েও এই বিশাল পাথর সরানো সম্ভব হয়নি।
রহস্যের উৎস :
মহাস্থানগড়ের এই খোদাই করা পাথরটি বহু শতাব্দী ধরে ইতিহাস ও রহস্যপ্রেমীদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু। কথিত আছে, রাজা পরশুরামের আমলে এই পাথরটি স্থাপন করা হয় এবং এটি একসময় গোপন গুপ্তধনের রক্ষক ছিল। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এই পাথর নড়ানোর চেষ্টা করলে অলৌকিক ঘটনা ঘটে, যা একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে।
প্রচলিত জনশ্রুতি:
স্থানীয়রা বলেন, একসময় শাসকরা এই পাথর সরানোর জন্য সাতটি শক্তিশালী হাতি ব্যবহার করেছিলেন, কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও কেউ এটি স্থানচ্যুত করতে পারেননি। পাথরটি যেন অদৃশ্য কোনো শক্তি দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে!
ইতিহাসবিদদের দৃষ্টিতে
বিভিন্ন ইতিহাসবিদ ও গবেষকরা মনে করেন, পাথরটি মূলত একটি প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন, যা তখনকার কারিগররা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে স্থাপন করেছিলেন। তবে এর প্রকৃত ইতিহাস ও গঠনশৈলী এখনো গবেষণার বিষয়।
পর্যটকদের আকর্ষণ:
এই রহস্যময় খোদাই করা পাথর দেখতে প্রতিদিনই দেশি-বিদেশি পর্যটকরা ভিড় করেন মহাস্থানগড়ে। ইতিহাস, পুরাণ ও জনশ্রুতির সংমিশ্রণে এটি এখন একটি আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে।
সত্যিই কি সাতটি হাতি দিয়েও এই পাথর সরানো সম্ভব হয়নি, নাকি এটি কেবলই লোককথা? রহস্যের জট খুলতে হলে আরও গভীর গবেষণার প্রয়োজন!