নিউজ ডেস্ক:
বর্তমান ডিজিটাল যুগে ফোনের রিংটোন এবং নোটিফিকেশন এক মুহূর্তের জন্যও থামে না। তবে কিছু মানুষ আছেন যারা সচেতনভাবেই তাদের ফোন সাইলেন্ট মুডে রাখেন— এমনকি গুরুত্বপূর্ণ কলের অপেক্ষায় থাকলেও। এটি শুধুমাত্র একটি অভ্যাস নয়, বরং একটি সচেতন সিদ্ধান্ত যা তাদের জীবনধারা এবং মানসিক প্রশান্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এ ধরনের ব্যক্তিদের কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়, যা তাদের কর্মপদ্ধতি, ব্যক্তিগত সম্পর্ক এবং মানসিক শান্তির ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। চলুন, জেনে নেওয়া যাক সর্বদা ফোন সাইলেন্টে রাখা ব্যক্তিদের ৮টি আকর্ষণীয় অভ্যাস:
নিজেদের সময় ও মনোযোগের নিয়ন্ত্রণে রাখেন
তারা ফোনের প্রতিটি নোটিফিকেশন বা রিংটোনের ওপর নির্ভরশীল না থেকে, নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী মেসেজ ও কল চেক করেন, যা তাদের কাজের প্রতি মনোযোগী করে তোলে।
গুরুতর কলের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখেন
গুরুত্বপূর্ণ কল মিস না করার জন্য তারা বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের কলের আগে মেসেজ করতে বলেন অথবা নির্দিষ্ট সময়ে কল চেক করেন।
এলোমেলো নোটিফিকেশনের ওপর নির্ভরশীল নন
তারা টু-ডু লিস্ট বা ডিজিটাল ক্যালেন্ডারের সাহায্যে কাজের তালিকা তৈরি করেন, যাতে নোটিফিকেশন বা রিংটোনের সাহায্য ছাড়াই কাজের ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।
বাস্তব জীবনে গভীরভাবে উপস্থিত থাকেন
তাদের ফোনের স্ক্রিন ক্রমাগত জ্বলজ্বল না করার কারণে তারা সামনাসামনি কথোপকথনে গভীর মনোযোগ দেন, যা তাদের সামাজিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করে।
স্পষ্টভাবে সীমারেখা নির্ধারণ করেন
তারা পরিচিতদের জানিয়ে দেন— “আমার ফোন সাধারণত সাইলেন্টে থাকে, তাই মেসেজ করুন”। এটি যোগাযোগের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা তৈরি করে।
ফিয়ারের অফ মিসিং আউট (FOMO) থেকে মুক্ত
ফোনের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীল না হয়ে তারা বুঝতে পারেন, জরুরি কিছু হলে মানুষ অন্য উপায়ে যোগাযোগ করবে। ফলে উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকেন।
প্রতিদিন ছোট বিরতি নিয়ে ডিজিটাল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন
ফোন বাজছে না বলে তারা ডিজিটাল বিশ্বে ডুবে থাকেন না। বই পড়া বা কাজ করার সময় তারা সম্পূর্ণভাবে মনোযোগী থাকতে পারেন।
নির্দিষ্ট সময়ে গভীরভাবে সংযোগ স্থাপন করেন
সাইলেন্ট ফোন মানে যোগাযোগ এড়ানো নয়। বরং তারা নির্দিষ্ট সময়ে ফোন চেক করে আরও মনোযোগী হয়ে উত্তর দেন, যা কথোপকথনকে আরও তাৎপর্যময় করে তোলে।