এইচ বি সুমন আলী,
বরগুনার তালতলীতে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন জহিরুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবক। বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ১০টার দিকে উপজেলার জাকির তবক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জহিরুল ইসলাম তালতলীর জাকির তবক গ্রামের মজিবর হোসেনের ছেলে। তার স্ত্রী লামিয়া বেগম (২০), পিতা সবুজ মৃধা, পচাকোরালিয়া ইউনিয়নের চন্দনতলা গ্রামের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রেমের সম্পর্কের মাধ্যমে প্রায় ৮-৯ মাস আগে জহিরুল ও লামিয়া মৌখিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। তবে লামিয়া তার আগের স্বামীকে আনুষ্ঠানিকভাবে তালাক না দিয়েই জহিরুলের পরিবারের সঙ্গে বসবাস শুরু করেন।
সম্প্রতি লামিয়া বাবার বাড়ি গেলে তার পরিবার তাকে আটকে রাখে এবং ছেলেপক্ষকে জানায়—বৈধভাবে বিবাহ করতে হলে আগের স্বামীকে তালাক দিয়ে ইসলামী শরীয়ত ও রাষ্ট্রীয় বিধি অনুযায়ী কাবিন করতে হবে। কিন্তু জহিরুলের পরিবার এ বিষয়ে সম্মতি না দিলে বিষয়টি থানায় গড়ায়।
এরপর থেকেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন জহিরুল। পারিবারিক বিরোধ ও সামাজিক চাপের কারণে হতাশায় তিনি বিষাক্ত গ্যাস ট্যাবলেট সেবন করেন।
ঘটনার সময় এক অটোরিকশাচালক তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান এবং স্বজনদের খবর দেন। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা সংকটজনক দেখে জহিরুলকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। কিন্তু পথেই তার মৃত্যু হয়।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা (ইউডি) দায়ের করা হয়েছে।