আক্কাছ আলী, মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি | আগামী সকাল:
মুন্সিগঞ্জের উত্তর ইসলামপুরে ইভটিজিং নিয়ে সালিশি বৈঠকে ত্রিমুখী খুনের ঘটনায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় আরও ১০ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩-এর বিচারক মাসুদ করিম এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—সৌরভ প্রধান, রনি বেপারী ও শিহাব প্রধান।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—শাকিব প্রধান, শামীম প্রধান, অনিক বেপারী, রায়হান ও ছোট জাহাঙ্গীর।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. বিল্লাল হোসেন জানান, দণ্ডপ্রাপ্ত শিহাব, শাকিব ও শামীম আপন ভাই।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ মার্চ বিকেলে মুন্সিগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় কিশোর-তরুণদের মধ্যে হাতাহাতির জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়। ওই ঘটনার মীমাংসার জন্য রাতে দুই পক্ষকে সালিশে ডাকা হয়। কিন্তু সালিশ চলাকালীন সময়ে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে, যাতে ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান মো. ইমন হোসেন (২২), মো. সাকিব হোসেন (১৯) ও মিন্টু প্রধান (৪০)।
ঘটনার দুই দিন পর নিহত মিন্টু প্রধানের স্ত্রী খালেদা আক্তার বাদী হয়ে ২৬ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০–১৫ জনকে আসামি করা হয়।
রায় ঘোষণার পর অসন্তোষ প্রকাশ করে মামলার বাদী খালেদা আক্তার বলেন, “আমি ন্যায়বিচার পাইনি। প্রয়োজনে উচ্চ আদালতে যাবো। যতদিন বেঁচে আছি, আমার স্বামীর হত্যার ন্যায্য বিচার চাইবো।” এ সময় তিনি বিচারব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর বিল্লাল হোসেনও রায়ে অসন্তোষ জানিয়ে জানান, “আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।”