কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের মাইরাগাঁও গ্রামে ঘটে গেল এক মর্মান্তিক ঘটনা, যা শুধু একটি প্রাণ হারানোর গল্প নয়—বরং আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি।
গতকাল (তারিখ উল্লেখ করুন) দুপুর ৩টার দিকে গ্রামের এক কিশোরকে সাপে কামড় দেয়। পরিবারের লোকজন সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে ছুটে যায় নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সেখানে গিয়েই হতাশার শুরু—হাসপাতালে একটি এন্টিভেনমও ছিল না!
তা সত্ত্বেও কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে দুই ঘণ্টা ধরে হাসপাতালে আটকে রাখে। চলে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার নামে সময়ক্ষেপণ।
ছেলেটির অবস্থার অবনতি হলে তখন বলা হয়—"এখনই কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান!"
কিন্তু তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। ছেলেটিকে দ্রুত কুমিল্লা মেডিকেলে নেওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। আইসিইউতে ভর্তি করানোর পর তার মৃত্যু হয়।
এই মৃত্যু আমাদের সামনে বড় প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়—
সাপের কামড়ের মতো জীবন-মরণ সংকটে কেন ছিল না এন্টিভেনম?
কেন ২ ঘণ্টা সময়ক্ষেপণ?
গ্রামীণ এলাকায় যেখানে সাপের ঝুঁকি বেশি, সেখানে কেন নেই জরুরি ওষুধ?
এই মৃত্যু ‘নিয়তির’ নয়—এটি ব্যবস্থাগত হত্যাকাণ্ড।
এই ঘটনায় আমাদের দাবি—
প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এন্টিভেনম সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
জরুরি চিকিৎসা না থাকলে রোগীকে তাৎক্ষণিক রেফার করার আইনি বিধান চালু করতে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির তদন্ত ও শাস্তির দাবি জানাই।
আল্লাহ যেন সেই ছেলেটিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করেন। আর এই মৃত্যু যেন গ্রামীণ স্বাস্থ্যসেবার অব্যবস্থার বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ, সচেতনতা ও জবাবদিহিতার দাবিতে রূপ নেয়।