মোঃ রাহিম হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার পারিলা গ্রামে ব্যাটারিচালিত ভ্যানচালক রাজু আহমেদকে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা ও ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা একজন এবং ছিনতাই হওয়া ভ্যান কেনার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরও দুইজন।
শনিবার (২৮ জুন) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) এএনএম ওয়াসিম ফিরোজ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন—নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী এলাকার খাদেমুল ইসলাম মধু, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ফতেপুর-মসজিদপাড়ার আমানত আলী ও তার ছেলে আমিনুর রহমান। মূল ঘাতক খাদেমুল ইসলাম মধু নাচোলে বিয়ে করে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
এএসপি ওয়াসিম ফিরোজ জানান, গত ২৩ জুন পারিলা চাঁনপুকুর এলাকা থেকে রাজুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হত্যার পর থেকেই তদন্তে নামে তারা। একপর্যায়ে নীলফামারী থেকে গ্রেপ্তার করা হয় খাদেমুল ইসলামকে। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আমানত আলী ও তার ছেলে আমিনুরকে। সেইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই হওয়া রাজুর ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি।
পুলিশকে খাদেমুল স্বীকার করেছে, রাজুর ভ্যান ছিনিয়ে নিতেই পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়। তারা পূর্ব পরিচিত এবং একসাথে গাঁজা সেবনের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন (২২ জুন) বিকালে চুয়ানি খাওয়ানোর কথা বলে রাজুকে ফাঁদে ফেলে। অতিরিক্ত চুয়ানি খাওয়ানোর ফলে রাজু অচেতন হয়ে পড়লে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাদেমুল গলায় ছুরি চালিয়ে এবং পিঠে আঘাত করে হত্যা করে।
গ্রেপ্তার তিনজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাজু আহমেদ গত ২১ জুন নিজ বাড়ি নাচোল উপজেলার শ্রীরামপুর থেকে ব্যাটারিচালিত ভ্যান নিয়ে বের হয়ে নিখোঁজ হন। ২২ জুন পারিলা চাঁনপুকুর এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরদিন নিহতের মা সুলতানা বেগম বাদী হয়ে নাচোল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।