জয় চন্দ্র শীল, বরিশাল:
চালের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির প্রতিবাদে বরিশালে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। “ভাতের পাতে স্বস্তি ফেরাও” এই স্লোগানকে সামনে রেখে মঙ্গলবার (১ জুলাই) নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
প্রান্তজন ও খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক– খানি'র যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরা হয়। এতে অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ, যুব প্রতিনিধি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, পরিবেশ কর্মীসহ সচেতন নাগরিকেরা।
বরিশাল ক্যাব-এর সম্পাদক রনজিৎ দত্ত মানববন্ধনে বলেন, “পরিকল্পনা কমিশনের জুন ২০২৫-এর হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, মে মাসের সামগ্রিক খাদ্য মূল্যস্ফীতিতে এককভাবে চালের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব ছিল প্রায় ৪০ শতাংশ। বোরো মৌসুমে চালের উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও বাজারে স্বস্তি ফেরেনি।”
বিশ্লেষকদের মতে, মিল পর্যায়ে খরচ বৃদ্ধি, ধানের দামে অস্থিরতা, অবৈধ মজুতদারি এবং বাজারে নজরদারির অভাব—এই চারটি কারণেই চালের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে। ফলে কৃষক যেমন ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না, তেমনি ভোক্তাকে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত মূল্য।
কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বরিশাল পরিবেশ ও উন্নয়ন ফোরামের সদস্য সচিব সুভাষ দত্ত, স্থানীয় নাগরিক ও পরিবেশ সচেতন মানুষ।
মানববন্ধনে উত্থাপিত প্রধান ৫ দাবি:
১. কৃষকের কাছ থেকে সরকারের সরাসরি চাল ক্রয়ের আওতা বৃদ্ধি।
২. দরিদ্র ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য রেশনিং ব্যবস্থা চালু।
৩. বাজার, উৎপাদন, মূল্য নির্ধারণ এবং ভোগ সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ক্ষুদ্র কৃষকের স্বার্থ রক্ষা।
৪. টিসিবি ও ওএমএস কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি করে প্রয়োজনভিত্তিক সহায়তা প্রদান।
৫. যথাযথ মনিটরিং ও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বাজারে চালের মূল্য ক্রেতার নাগালে আনা।
উক্ত কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা সরকারের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “চালের দামে স্থিতিশীলতা না এলে জনজীবনে সংকট আরও গভীর হবে।”