রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় আয়োজন শারদীয় দুর্গাপূজা ঘিরে রাজবাড়ীতে বইছে উৎসবের আমেজ। পূজার প্রস্তুতি এখন শেষ পর্যায়ে। মন্দিরে মন্দিরে শিল্পীরা রংতুলির শেষ আঁচড়ে প্রতিমাকে জীবন্ত করে তোলার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গত ২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা বহনকারী মহালয়া। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হবে পাঁচ দিনের দুর্গাপূজা, যা শেষ হবে ২ অক্টোবর বিজয়া দশমীর মাধ্যমে।
রাজবাড়ী সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের কোলার হাটের কর্মকার বাড়ির পূজামণ্ডপে পুরোদমে চলছে প্রস্তুতির কাজ। প্রতিমাশিল্পীরা শেষ মুহূর্তের রংতুলির আঁচড়ে প্রতিমাকে সাজিয়ে তুলছেন নতুন রূপে। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিমার সাজসজ্জা ও রঙের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মণ্ডপের আলোকসজ্জা, প্যান্ডেল নির্মাণ ও সাজসজ্জার কাজও চলছে দ্রুতগতিতে।
পূজা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জানান, এলাকার অন্যতম আকর্ষণীয় মণ্ডপ করতে তাঁরা নিরলস পরিশ্রম করছেন। এ উৎসবকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের পাশাপাশি বাইরের দর্শনার্থীদেরও একাধিকবার মণ্ডপে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ধর্মীয় শাস্ত্র অনুযায়ী, এবার দেবী দুর্গা গজে (হাতি) চড়ে মর্ত্যে আগমন করবেন, যা শুভ লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। তবে দোলায় চড়ে কৈলাশে প্রত্যাবর্তন কিছুটা অশুভ সংকেত বহন করে।
জেলা পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অনিন্দিতা গুহ বানী ও সদস্যসচিব বাবলু চক্রবর্তী জানান, এ বছর রাজবাড়ী সদর উপজেলায় ১১০টি, বালিয়াকান্দি উপজেলায় ৪৭টি এবং পুরো জেলায় প্রায় ৪৪০টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজা উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. কামরুল ইসলাম জানান, পূজা শুরুর আগে, চলাকালীন ও শেষে—তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি পূজামণ্ডপে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কেউ যদি পূজা ঘিরে বিশৃঙ্খলা বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টি করতে চায়, তবে তাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
✍️ মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা
বালিয়াকান্দি, রাজবাড়ী