মোঃ জাহিদুর রহিম মোল্লা
জেলা প্রতিনিধি, রাজবাড়ী.
বাংলাদেশের সীমা পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলো ছড়ালেন ইএনটি স্পেশালিস্ট ও হেড-নেক সার্জন ডা. বাসুদেব কুমার সাহা। নাক-কান-গলা রোগ চিকিৎসায় অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি অর্জন করেছেন মর্যাদাপূর্ণ ‘International Peace Award 2025’।
বাংলাদেশের চিকিৎসা ক্ষেত্রে মানবতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন এই তরুণ প্রতিভাবান চিকিৎসক। সম্প্রতি কুমিল্লার ৬৫ বছর বয়সী আবুল কাশেমের ৪৫ বছর ধরে বহন করা এক জটিল থাইরয়েড গ্ল্যান্ড টিউমারের সফল অস্ত্রোপচার করে তিনি দেশব্যাপী আলোচনায় আসেন।
‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’-এর মাল্টিমিডিয়া বিভাগে প্রচারিত সেই সংবাদের মাধ্যমে তার এই চিকিৎসা সাফল্য ছড়িয়ে পড়ে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও। এরপরই চিকিৎসা ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তাকে দেওয়া হয় আন্তর্জাতিক সম্মাননা ‘ইন্টারন্যাশনাল পিস অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’।
রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের মাসালিয়া গ্রামের ইঞ্জিনিয়ার বাবু অনিল কুমার মজুমদারের একমাত্র জামাতা ডা. বাসুদেব কুমার সাহা।
গত ৯ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) মালদ্বীপের রাজধানী মালে অবস্থিত ভিলা ইন্টারন্যাশনাল কলেজ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘এশিয়ান বিজনেস পার্টনারশিপ সামিট’-এর হিউম্যান হারমোনি কনফারেন্স অ্যান্ড অ্যাওয়ার্ডস অনুষ্ঠানে মালদ্বীপের মৎস্য ও সমুদ্রসম্পদ মন্ত্রী মো. মুতালিব তার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
পুরস্কার গ্রহণের সময় বাংলাদেশের এই গর্বিত চিকিৎসক লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়ে জানান নিজের দেশপ্রেম।
পুরস্কার অর্জনের অনুভূতি জানাতে গিয়ে ডা. বাসুদেব বলেন,
“এই অর্জন আমার একার নয়—এটি আমার টিমের প্রতিটি সদস্যের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। আমি এই পুরস্কার উৎসর্গ করছি সকল নাক-কান-গলা রোগে আক্রান্ত রোগীদের, যাদের পাশে থেকে চিকিৎসা সেবা দিতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি।”
বর্তমানে ডা. বাসুদেব কুমার সাহা কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে নাক-কান-গলা বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি তিনি চিফ কনসালট্যান্ট হিসেবে ম্যালিয়াস ইএনটি স্পেশালাইজড হসপিটাল লিমিটেডে নিয়মিত রোগী দেখা ও অপারেশন পরিচালনা করছেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর তিনি ৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ রোগীর দেড় ফুট দৈর্ঘ্যের জটিল থাইরয়েড টিউমার ১০ ঘণ্টাব্যাপী সফলভাবে অস্ত্রোপচার করেন, যা চিকিৎসা ক্ষেত্রে এক বিরল সাফল্য হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে।
তার এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বাংলাদেশের চিকিৎসা অঙ্গনে নতুন গৌরব যুক্ত করেছে।