August 4, 2025, 4:44 am
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সম্পুর্ণ খরচ দেবে বিল গেটস স্কলারশিপ, আবেদন চলছে রাজবাড়ীতে ৩১ কৃতি শিক্ষার্থী পেল এসইডিপি সম্মাননা ও অর্থ সহায়তা সুনামগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার পুলিশের বিশেষ অভিযানে মুন্সিগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনে গ্রামবাসীর ধাওয়া, ড্রেজারে আগুন! স্কুলের সামনে হাঁটুসমান পানি—দুর্ভোগে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা! সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিলেন সমন্বয়ক — বললেন, ভুল করিনি! জামালপুরের ইসলামপুরে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ নারী, ৩৬ ঘণ্টা পর মিললো মরদেহ কেশবপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবীদের ইসলামি ছাত্র শিবিরের সংবর্ধনা লাশ লাগলে লাশ নে, বাজেট দে”—উত্তাল রংপুর মডার্ন মোড়

লালপুরে ৬৫ লাখ টাকার কাজে অনিয়ম, বলছে কৃষকরা

তরিকুল ইসলাম

তরিকুল, লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:
নাটোরের লালপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) ‘পানাসি’ সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৬৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাম্প ঘর ও পাইপ লাইন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন, নিম্নমানের ইট, বালু, খোয়া এবং কম পরিমাণে রড ও সিমেন্ট ব্যবহার করে দায়সারা ভাবে কাজ করা হচ্ছে।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, পাবনা-নাটোর-সিরাজগঞ্জ জেলায় ভূ-উপরিস্থ পানির মাধ্যমে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ‘পানাসি’ প্রকল্পটি গ্রহণ করে বিএডিসি। এর আওতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরে লালপুর উপজেলায় নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলস লিমিটেডের নরেন্দ্রপুর, গবিন্দপুর ও পরীক্ষামূলক কৃষি খামারে ৬টি অকেজো বোরিং চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রতিটি পাম্প ঘর ও পাইপ লাইনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ লাখ ৮২ হাজার টাকা।

কাজ বাস্তবায়নে মেসার্স এজে ব্রাদার্সসহ কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও অভিযোগ রয়েছে, বেশিরভাগ জায়গায়ই মানহীন নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কাজ চলছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্মাণাধীন পাম্প ঘরগুলোর ঢালাইয়ে পরিমাণে খুব সামান্য সিমেন্ট ও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। প্লাস্টার খসে পড়ছে, আউটলেটের দেয়ালে চাপ দিলে ভেঙে যাচ্ছে।

বিশেষ করে প্রতিটি আউটলেটে ১০ মিমি রডের মাধ্যমে ৬ ইঞ্চি বর্গাকার ফ্রেম তৈরি করার কথা থাকলেও বাস্তবে মাত্র ৮ মিমি রডের ২-১টি ব্যবহার করা হয়েছে, যা নিয়মবহির্ভূত।

স্থানীয় কৃষক রকি হোসেন, সোহান আলী ও জিহাদ আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এ কাজ পুরোটাই অনিয়মে ভরা। কাজের সময় কোনো ইঞ্জিনিয়ার থাকেন না, তদারকি নেই। পঁচা খোয়া, নিম্নমানের বালু দিয়ে কাজ হচ্ছে। এভাবে কাজ করলে কিছুদিনেই সব নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা চাই অনিয়মের কাজ ভেঙে নতুনভাবে করা হোক।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাব-ঠিকাদার রফিকুল ইসলাম কাজের অনিয়মের কথা স্বীকার করে বলেন, “মিস্ত্রির দক্ষতার অভাবে কিছু ভুল হয়েছে। এবারের মত ক্ষমা চাইছি। কাজগুলো আবার ঠিক করে দিব।”

বিএডিসির বড়াইগ্রাম জোনের সহকারী প্রকৌশলী (ক্ষুদ্র সেচ) জিয়াউল হক বলেন, “যদি কোনো জায়গায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং মালামাল ফেরত পাঠানো হবে। ঠিকাদারের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাজের মান নিয়ে কোনো আপস করা হবে না।”

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন