April 8, 2025, 7:29 pm

উপাখ্যান: আদিবাসী সংস্কৃতি সংরক্ষণ ও ক্ষমতায়নের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত

মিরাজ হুসেন প্লাবন

বেরোবি প্রতিনিধি:

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল মেধাবী শিক্ষার্থীর উদ্যোগে পরিচালিত “উপাখ্যান” প্রকল্প আদিবাসী সম্প্রদায়ের জীবনে নতুন সম্ভাবনার

দুয়ার খুলে দিয়েছে। BRAC-Amra Notun Network-এর পৃষ্ঠপোষকতায় এই সামাজিক উদ্যোগটি আদিবাসী নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধি, তাদের সাংস্কৃতিক

ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা অর্জনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

উপাখ্যান প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য রংপুর অঞ্চলের আদিবাসী নারী-পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা এবং তাদের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা

নিশ্চিত করা। প্রকল্পের আওতায় তৈরি হচ্ছে মাটির হাড়ি-পাতিল, শিকিয়া, সিদল, খেলনা পুতুল, এবং ইনডোর প্ল্যান্টের মতো পণ্য। এসব পণ্য বাজারজাত

করার মাধ্যমে আদিবাসীরা আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন এবং তাদের জীবনে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে।

“উপাখ্যান” শুধুমাত্র একটি পণ্য বিপণন উদ্যোগ নয়, এটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের আত্মপরিচয় ও সাংস্কৃতিক গর্ববোধকে পুনরুজ্জীবিত করার একটি মঞ্চ।

প্রকল্পটি সাংস্কৃতিক বিনিময়ের মাধ্যমে ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করছে এবং আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে শক্তিশালী সংযোগ তৈরি করছে।

“ক্ষমতায়নের গল্প গড়ি, ঐতিহ্যের আলোয়।”

উপাখ্যানের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য হলো আদিবাসী সংস্কৃতিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরা এবং তাদের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থানকে আরও সুদৃঢ় করা।

সম্প্রসারণের মাধ্যমে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে এই উদ্যোগ।

রংপুরের এই তরুণদের মেধা ও নিষ্ঠা যে সমাজে একটি স্থায়ী পরিবর্তন ঘটাতে পারে, উপাখ্যান তার এক উজ্জ্বল উদাহরণ। আদিবাসী সম্প্রদায়ের

জীবনমান উন্নয়নে এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে।

“উপাখ্যান” প্রকল্পটি আদিবাসী সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়নের পথে এক অনুপ্রেরণাদায়ক দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন