চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মনোরেল নির্মাণ হতে যাচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। নগরীর ক্রমবর্ধমান যানজট নিরসন ও আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
রোববার (১ জুন) সকালে চট্টগ্রামের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে এক অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সঙ্গে জার্মানি ও মিশরের যৌথ উদ্যোগে গঠিত প্রতিষ্ঠান ওরাসকম এবং আরব কন্ট্রাক্টর গ্রুপ—এই দুটি সংস্থার মধ্যে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চট্টগ্রামে মনোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে ফিজিবিলিটি স্টাডি (সম্ভাব্যতা যাচাই) পরিচালনা করবে।
কী থাকবে মনোরেল প্রকল্পে?
চসিক সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত মনোরেল প্রকল্পটি হবে ৫৪ কিলোমিটার দীর্ঘ, যার মধ্যে থাকবে ৩২ থেকে ৩৩টি স্টেশন। মনোরেলটি নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোকে সংযুক্ত করবে, যাতে করে পুরো শহর ঘুরে দেখা যাবে মাত্র ৩০ থেকে ৪০ মিনিটে।
মনোরেলের সুবিধা কী?
পরিবহন ও সড়ক বিশেষজ্ঞরা জানান, মনোরেল হচ্ছে একটি উন্নতমানের প্রযুক্তিনির্ভর রেল ব্যবস্থা, যা মেট্রোরেলের তুলনায় প্রায় অর্ধেক খরচে বাস্তবায়নযোগ্য। এছাড়া, মনোরেল স্থাপনে কম জায়গা প্রয়োজন, ফলে নগরীর বিদ্যমান অবকাঠামোকে তেমন পরিবর্তন করতে হবে না।
ভবিষ্যতের চট্টগ্রাম আরও আধুনিকের পথে
চসিক কর্মকর্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই মনোরেল বাস্তবায়িত হলে চট্টগ্রামের সড়ক যানজট উল্লেখযোগ্য হারে কমবে, নগরবাসীর পরিবহনজনিত ভোগান্তি লাঘব হবে, এবং নগরী আরও আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে দেশের পরিবহন খাতে চট্টগ্রাম রাখল এক নতুন দৃষ্টান্ত, যা ভবিষ্যতের বাংলাদেশের নগর পরিকল্পনায় একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে।