সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তরুণ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। এতে গুরুত্বপূর্ণ দুর্নীতির নথি পুড়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ পুড়ে যাওয়ার দাবি
আসিফ মাহমুদ জানান, মন্ত্রণালয়ের পুড়ে যাওয়া নথিগুলোর মধ্যে পিরোজপুরে মূখ্য সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং আরও কয়েকজন কর্মকর্তার দুর্নীতির প্রমাণ ছিল। তবে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, এসব তথ্য জেলা পর্যায়েও সংরক্ষিত থাকায় সেগুলো পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, “আমরা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেক অসঙ্গতি ও দুর্নীতির তথ্য পেয়েছি। কয়েক হাজার কোটি টাকা লুটপাটের প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল। এই অগ্নিকাণ্ডের পেছনে ষড়যন্ত্র থাকলে জড়িতদের বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।”
ক্ষতিগ্রস্ত মন্ত্রণালয় ও দপ্তর
উপদেষ্টা আসিফ জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি ডাক ও টেলিযোগাযোগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া এবং সড়ক ও জনপথ অধিদফতরেরও ক্ষতি হয়েছে। তবে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধিকাংশ নথি অনলাইনে থাকায় সেগুলো পুনরুদ্ধারের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অগ্নিকাণ্ডের বিবরণ
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের ৬ থেকে ৯তলা পর্যন্ত অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
৬তলা: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
৭তলা: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের একাংশ।
৮তলা: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আরেক অংশ।
৯তলা: সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের একাংশ।
তদন্তের দাবি ও সতর্কবার্তা
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ এবং সম্ভাব্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আসিফ মাহমুদ। ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, “আমাদের ব্যর্থ করার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এই চক্রান্তে যারা জড়িত থাকবে, তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।”
এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠনের পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার
দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।