নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নানা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। দেশটির গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল যাত্রা অব্যাহত রাখতে জঙ্গিবাদ, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এবং বৈদেশিক ষড়যন্ত্রের মতো বিষয়গুলো মোকাবিলা করা জরুরি হয়ে উঠেছে।
জঙ্গিবাদ: এক অব্যাহত হুমকি
বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ নতুন নয়। ১৯৯০-এর দশকের শেষ থেকে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি), হরকাতুল জিহাদ (হুজি-বি)সহ বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনের তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে। ২০১৬ সালের গুলশান হলি আর্টিজান হামলার পর সরকার কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও, এখনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মাধ্যমে তরুণদের চরমপন্থায় প্রলুব্ধ করার চেষ্টা চলছে।
স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির সক্রিয়তা
একাত্তরের পরাজিত শক্তিগুলো এখনো দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। স্বাধীনতা বিরোধী দল ও গোষ্ঠীগুলো রাজনৈতিক মঞ্চে থেকে গণতান্ত্রিক স্থিতিশীলতাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় সহিংস প্রতিক্রিয়া তাদের উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট করে।
পাকিস্তানি তৎপরতা ও বিদেশি প্রভাব
বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে পাকিস্তানের বিভিন্ন গোপন কার্যক্রমের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বিশেষত, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের মাধ্যমে উগ্রপন্থীদের সহায়তা প্রদান এবং ধর্মীয় উত্তেজনা ছড়ানোর প্রচেষ্টা লক্ষ্য করা যায়।
সমাধান ও করণীয়
১. জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন: শিক্ষা ব্যবস্থায় ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
2. আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দক্ষতা বৃদ্ধি: আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা জরুরি।
3. বৈদেশিক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা: কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপর থেকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
4. স্বাধীনতা বিরোধী শক্তির দমন: সাংবিধানিকভাবে স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও উন্নয়ন নিশ্চিতে নাগরিক, সরকার এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। এ সংকট মোকাবিলায় জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন।