মোঃ রাজু আহম্মেদ
পাইকগাছা প্রতিনিধি:
খুলনার পাইকগাছায় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা তুজ জোহরা রুপার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে পাইকগাছা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ধামরাইল এলাকার বাসিন্দা মো. কালাম গাজী। তিনি বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সরকার বাহাদুরের উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১% বরাদ্দে ধাইরাইল-কাওয়ালী এলাকায় একটি রাস্তা নির্মাণের জন্য ১ লাখ ৫ হাজার টাকা অনুমোদিত হয়। প্রকল্পটির দায়িত্বে ছিলেন রুপা মেম্বার।
তিনি অভিযোগ করেন, কাজ শুরুর আগে রুপা ও তার স্বামী আশরাফুল ইসলাম সবুজ (যিনি নিষিদ্ধ যুবলীগ নেতা হিসেবে পরিচিত) এলাকাবাসীর কাছ থেকে রাস্তার পাশে মাটি ফেলার নাম করে ৫০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২০০০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা সংগ্রহ করেন। পরে এলাকাবাসী জানতে পারে, প্রকল্পের জন্য সরকারি বাজেটেই মাটির খরচ অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা ছিল প্রায় ১৯ হাজার টাকা।
এই বিষয়ে প্রশ্ন করতে গেলে রুপা মেম্বার দাবি করেন, প্রকল্পে কোনো বাজেট নেই এবং এলাকাবাসীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ ও হুমকি দেন। এরপর ১৬ মে সন্ধ্যায় রুপা ও তার স্বামী কিছু দলীয় কর্মী নিয়ে কালাম গাজীর দোকানে গিয়ে গালিগালাজ করেন এবং তার প্রতিবন্ধী ছেলেকে মারধরের চেষ্টা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও অভিযোগ করা হয়, চলতি বছরের ১৭ মে টিআর প্রকল্পের আওতায় একটি ড্রেন নির্মাণের গাইড ওয়াল ভেঙে ২,৫০০ ইট আমিরুল মোল্লার কাছে বিক্রি করেছেন রুপা। তাছাড়া, বিভিন্ন সুবিধাভোগী কার্ড যেমন ভিজিডি, গর্ভবতী ভাতা, পানির ট্যাংক, টিসিবি ও রেশন কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে এলাকাবাসীর কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন বক্তারা।
এছাড়া, তিনি আওয়ামী লীগ নেত্রী হয়েও ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার সময় দলীয় অফিসে অন্য নেতাকর্মীদের সঙ্গে প্রকাশ্যে অংশ নেন, যা রাজনৈতিকভাবেও প্রশ্নবিদ্ধ বলে দাবি করা হয়।
সবশেষে, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কালাম গাজী ইউপি সদস্য রুপার বিরুদ্ধে সকল প্রকার দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিচার চেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেন