সুমন আহমদ, সিলেট প্রতিনিধি:
সিলেট শহরের রাস্তাঘাট যেন এখন হকারদের নিয়ন্ত্রণে। প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি—ফুটপাত, মোড় এবং জনসমাগমস্থলগুলোতে হকারদের জটলায় হাঁটাচলা করাই দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারী ও যাত্রীদের।
বিশেষ করে ক্বিন ব্রিজ, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা, আম্বরখানা, বন্দরবাজার এবং দরগাহ গেইট এলাকার সড়ক ও ফুটপাত হকারদের দখলে চলে গেছে। ফুটপাত তো বহু আগেই দখল হয়ে গেছে, এখন মূল সড়কের একাংশেও দোকানপাট বসিয়ে রেখেছেন হকাররা, যার ফলে যান চলাচলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে।
স্থানীয় এক পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমরা হেঁটে চলার সুযোগ পাচ্ছি না। গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার উপক্রম হয়। শিশু-বৃদ্ধদের নিয়ে চলাফেরা করতে ভয় লাগে।”
অপরদিকে, হকাররা দাবি করছেন, জীবিকা নির্বাহের জন্য বাধ্য হয়েই তারা রাস্তায় বসেন। এক হকার বলেন, “বিকল্প কোনো জায়গা না দিয়ে আমাদের উঠিয়ে দিলে পরিবার চালাবো কীভাবে?”
অভিযোগ রয়েছে, কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক-এর মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। ট্রাফিক বিভাগের এক কর্মকর্তার ফোনও বন্ধ পাওয়া গেছে।
তবে আশার কথা হলো, সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন জানান, “আমরা আগামীকাল থেকে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করব। হকারদের উচ্ছেদ করে শহরকে হকারমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।”
নগর পরিকল্পনাবিদ ও সাধারণ মানুষের মতে, সিলেটের সৌন্দর্য ও নাগরিক নিরাপত্তা রক্ষায় অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। একদিকে হকারদের পুনর্বাসন, অন্যদিকে নগরীর শৃঙ্খলা—এই দুই দিক বিবেচনায় এনে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।