July 20, 2025, 10:22 am
শিরোনাম :
“চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল সিদ্ধান্তে রোগীর মৃত্যু হৃদয় হত্যার রহস্য উদঘাটন: জুয়া, প্রতারণা ও নির্মম শ্বাসরোধ মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথেই থেমে গেল তিন শিশুর জীবন ভাড়াটে লোক এনে জমি দখলের চেষ্টা, এবার রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী হামলা হেলমেট না থাকলে মাথা উড়েই যেত-চাঁদার দাবিতে চাপাতির কোপ রাজবাড়ীর ইয়াবা সম্রাট ইসহাক গ্রেফতার, ৪৫০ পিস ইয়াবাসহ বেরোবিতে শহিদ আবু সাঈদ স্মরণে বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন এফবিসিসিআই নির্বাচন: আতিকুর রহমানের পক্ষে গণজোয়ার শেরপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১০ বাংলাদেশিকে পুশইন করল বিএসএফ ১৫ বছর ধরে চালিয়ে গেছেন প্রতারণা -অবশেষে পুলিশের জালে ধরা

১১ বছরের ছাত্রীকে দিয়ে শিক্ষক পা চাটালেন, খাওয়ালেন ময়লা

এইচ বি সুমন আলী

এইচ বি সুমন আলী
স্টাফ রিপোর্টার, বরগুনা:

বরগুনার তালতলী উপজেলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে চরম অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, লাউপাড়া এলাকার মারকাজুল কুরআন আরবি মাদ্রাসায় ১১ বছর বয়সী এক ছাত্রীকে দিয়ে শিক্ষক মিজানুর রহমান (২৬) নিজের পা চাটাতে বাধ্য করেন এবং মাটিতে পড়ে থাকা নোংরা ময়লা খাওয়ান।

বুধবার (৪ জুন) বিকেল ৪টার দিকে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা শাহিন আকন জানান, “আমার মেয়ে কোনো একটি পড়া না পারায় শিক্ষক তাকে একা রুমে ডেকে নেয়। পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে নিজের পা চাটাতে বাধ্য করে এবং মাটিতে পড়ে থাকা ময়লা খাওয়ায়। এ ঘটনা আমি কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।”

স্থানীয়দের অভিযোগ, এটি শিক্ষার নামে চরম অপমানজনক ও অমানবিক আচরণ। দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

অভিযুক্ত শিক্ষক মিজানুর রহমান অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “আমি কেবল ময়লা খাওয়ানোর কথা বলেছি, অন্য অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা।”

তালতলী শিশু সুরক্ষা কমিটির সভাপতি হাইরাজ মাঝি বলেন, “এ ধরনের আচরণ শুধু অশোভন নয়, শিক্ষকের মর্যাদাকেও অপমান করে। শিশুদের সঙ্গে এমন আচরণ লজ্জাজনক।”

আইনি দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্ব
বরগুনা জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং আমতলী উপজেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, “এটি শিশু অধিকার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। দণ্ডবিধির ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় মামলা করা যেতে পারে। এছাড়া শিশু আইন ২০১৩-এর ৭, ৮ ও ৯ ধারায় সর্বোচ্চ ৫ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন আচরণ সমাজে নেতিবাচক বার্তা দেয়। তাই দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”

তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ জালাল বলেন, “এ বিষয়ে এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

এদিকে, ভুক্তভোগী শিশুটি বর্তমানে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে বলে জানা গেছে। পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন