জুনেদ আহমদ রুনু, সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। আটককৃত যুবকের নাম রুহুল আমিন আকাশ (৩০), তিনি উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের দিগলী (রামপুর) গ্রামের মৃত নূর হোসেনের ছেলে।
ঘটনার বিবরণ:
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে সিলেট শহরে গৃহকর্মীর কাজ শেষ করে কিশোরী নিজ বাড়িতে ফেরার পথে গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে নামে। সেখান থেকে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে একটি সিএনজি অটোরিকশায় ওঠে। অটোরিকশা চালক তাকে দক্ষিণ খুরমা ইউনিয়নের ভুইগাঁও গ্রামের পথে না গিয়ে পাশ্ববর্তী সাদা ব্রিজ এলাকার একটি গ্যারেজে নিয়ে যায়।
সেখানে কিশোরীকে আটকে রেখে তিনজন মিলে তার ওপর শারীরিক নির্যাতন ও ধর্ষণ করে। সন্ধ্যার দিকে তাকে ছেড়ে দিলে কিশোরী গোবিন্দগঞ্জ পয়েন্টে এসে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যদের বিষয়টি জানায়। পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে গ্যারেজ মালিক রুহুল আমিন আকাশকে আটক করে।
আইনগত পদক্ষেপ:
বুধবার বিকেলে নির্যাতিত কিশোরী নিজে বাদী হয়ে ছাতক থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। থানার উপ-পরিদর্শক মো. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, ভুক্তভোগী কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য:
ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মুখলেছুর রহমান আকন্দ বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। আটক রুহুল আমিন আকাশকে মামলার প্রধান আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”
সামাজিক প্রতিক্রিয়া:
এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।