শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শাজাহানপুরে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়কারী একটি চক্রের সক্রিয় তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় চালানো অভিযানে তাদের আটক করা হয়। আজ বুধবার (১৮ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ জানায়, গত ১১ এপ্রিল সকালে শাজাহানপুর উপজেলার সাবরুল বাগিনাপাড়ার যুবক মিজানুর রহমান (৩৩) নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলযোগে রওনা হন। পথিমধ্যে রানিরহাট বাজারের নাইস টেইলার্সের সামনে পৌঁছালে তিনটি মোটরসাইকেলে থাকা অপহরণকারী চক্র তার পথরোধ করে। পরে অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে শাজাহানপুরের নন্দকুল গ্রামের এক পুকুরপাড়ে নিয়ে গিয়ে শারীরিক নির্যাতন চালায় অপহরণকারীরা।
অপহরণের পর ভুক্তভোগীর নিকট থেকে ২৮ হাজার ৫০০ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। পরে তার পরিবারের কাছে মুক্তিপণ হিসেবে এক লাখ টাকা দাবি করা হয়। ভিকটিমের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ উত্তোলনের পাশাপাশি মোটরসাইকেল বন্ধক রেখে আরও অর্থ আদায় করা হয়। এমনকি ভুক্তভোগীর কাছ থেকে একটি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরও নেওয়া হয়।
ঘটনার পর মিজানুর রহমান নিজেই বাদী হয়ে ১২ এপ্রিল শাজাহানপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ৩২)। তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরিফুল ইসলাম জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে কামরান মণ্ডল শামীম (৩৮) ও রাকিব মণ্ডল (৩২) নামের দু’জনকে ১৩ জুন গ্রেফতার করা হয়। এরপর আজ ১৮ জুন মামলার এজাহারভুক্ত ৩ নম্বর আসামি সাকিব (২২)-কে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, “গ্রেফতারকৃত কামরান মণ্ডল শামীমের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টাসহ একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। অন্যদিকে, সাকিবের বিরুদ্ধেও অস্ত্র, চাঁদাবাজি, মারধর ও হত্যাচেষ্টাসহ অন্তত চারটি মামলা রয়েছে।”
তিনি আরও জানান, মামলার অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতার এবং ছিনিয়ে নেওয়া টাকা ও মালামাল উদ্ধারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।