October 17, 2025, 11:19 am
শিরোনাম :
বরগুনা: পুলিশের অভিযানে মাদকসহ তিন যুবক আটক রাজবাড়ীর জামাতা ডা. বাসুদেব সাহার আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন গাজীপুর পূবাইলে অবৈধ ঘোড়া জবাই ব্যবসার মূল হোতা আটক মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে সাংবাদিকদের নৌ-ভ্রমণ ও সাংস্কৃতিক আয়োজন বাঁচতে চান সবার সহযোগিতায় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাদক ব্যবসায়ীর হাতে নির্মমভাবে খুন যুবক গাজীপুরে এনা পরিবহনের বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় অটোযাত্রীর মৃত্যু উপজেলা উন্নয়ন কমিটির অফিসে লুটপাটের অভিযোগ রাজবাড়ী: বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ৭ গুণী শিক্ষকের সম্মাননা স্মারক প্রদান শহীদ ফেলানী হলের ছাত্রীদের অসন্তুষ্টি, বৈষম্যমূলক সুবিধা নিয়ে অভিযোগ

দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার, জামিনে মুক্ত বেরোবির শিক্ষক মাহমুদুল

মুসফিকুর রহমান

বেরোবি প্রতিনিধি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল হক রংপুরের হাজিরহাট থানায় দায়ের হওয়া দুটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় রংপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি মুক্তি পান। এর আগে বিকেলে রংপুরের যুগ্ম-মহানগর আদালতের বিচারক মার্জিয়া খাতুন চার্জশিট দাখিল না হওয়া পর্যন্ত তার জামিন মঞ্জুর করেন। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২ জুলাই।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে অধ্যাপক মাহমুদুল হককে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ২০২৪ সালের ২ আগস্ট অনুষ্ঠিত ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সময় নিহত মুদি দোকানি সমেস উদ্দিন হত্যা মামলার ৫৪ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হন। পরে ১৮ জুলাই আন্দোলন চলাকালে নিহত অটোচালক মানিক মিয়ার মামলাতেও তাকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানো হয়, যেখানে তিনি ১৯ নম্বর আসামি।

এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। তার গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করা হয়।

রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী জানান,
“বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘর্ষে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন জড়িত ছিল। ভিডিও ফুটেজ ও ছবি বিশ্লেষণ করে তদন্তের অংশ হিসেবে অধ্যাপক মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে তার সম্মান ও মর্যাদা বিবেচনায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে সোপর্দ করা হয়।”

সমেস উদ্দিন হত্যা মামলা প্রসঙ্গে বাদী আমেনা বেগম অভিযোগ করেন,
“গত বছরের ২ আগস্ট সমেস উদ্দিন তার দোকানে থাকাকালে আন্দোলনকারীরা তাকে বাইরে নিয়ে যায় ও রড দিয়ে পিটিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে তার মরদেহ পাওয়া যায়।”

মামলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দসহ ৫৪ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়। ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমেস উদ্দিনের কবরের পাশে “জাতীয় বীর” লেখা একটি সাইনবোর্ড ভাইরাল হয়, যদিও পরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সাইনবোর্ডটি আর সেখানে নেই।

এদিকে মাহমুদুল হকের গ্রেপ্তারের তিন দিনের মাথায় হাজিরহাট থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মামুনকে বদলি করে ডিবিতে পদায়ন করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, সব কিছু তদন্তাধীন রয়েছে এবং যথাযথ প্রক্রিয়ায় চার্জশিট দাখিল করা হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন