সুমন আহমদ, সিলেট প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নে গভীর রাতে সংঘবদ্ধ চোরের দল ৫টি পরিবারের ঘরে চুরি চালিয়ে নগদ অর্থ ও মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো চরম অসহায় অবস্থায় পড়েছে। গত ৭-৮ মাস ধরে এলাকায় ধারাবাহিক চুরি ও ডাকাতির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিজ্ঞতা:
মোছাঃ শিফা বেগম বলেন, “আমার এত কষ্টে জমানো টাকা, একটি মোবাইল ফোন, সেলাই মেশিন এবং কাপড় সবকিছু চোরেরা নিয়ে গেছে। আমি এখন অসহায়।”
মোহাম্মদ আশিক আলী জানান, “আমার ঘর থেকে দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল চুরি হয়েছে। প্রতিদিনই এলাকায় চুরি হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে।”
আব্দুল হক বলেন, “দুটি স্মার্টফোন হারিয়েছি। এগুলোতে আমার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। আমি অনলাইনে আয় করতাম, এখন বড় ক্ষতির মুখে।”
মোহাম্মদ ফারুক মিয়া জানান, “দিনমজুর হিসেবে কষ্ট করে কেনা বাইসাইকেল চুরি হয়েছে। এটাই ছিল আমার জীবনের বড় ভরসা।”
আমির আলী বলেন, “আমার মোবাইল ফোনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। চুরি-ডাকাতির কারণে রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।”
অবস্থার ভয়াবহতা:
স্থানীয়দের অভিযোগ, গবাদিপশু, দোকানের মালামাল, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, মোবাইল, স্বর্ণালংকারসহ কিছুই নিরাপদ নয়। এমনকি স্প্রে ব্যবহার করে ঘরে ডাকাতির মতো ঘটনাও ঘটছে।
একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তেমন তৎপরতা নেই। চুরি হওয়া জিনিস কয়েকদিন নিজেরা খুঁজে পরে হাল ছেড়ে দিই।”
প্রশাসনের প্রতি দাবি:
অতিদ্রুত চোরচক্রকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় না আনা হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।