October 16, 2025, 11:26 am
শিরোনাম :
বরগুনা: পুলিশের অভিযানে মাদকসহ তিন যুবক আটক রাজবাড়ীর জামাতা ডা. বাসুদেব সাহার আন্তর্জাতিক পুরস্কার অর্জন গাজীপুর পূবাইলে অবৈধ ঘোড়া জবাই ব্যবসার মূল হোতা আটক মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ীতে সাংবাদিকদের নৌ-ভ্রমণ ও সাংস্কৃতিক আয়োজন বাঁচতে চান সবার সহযোগিতায় কুমিল্লার দাউদকান্দিতে মাদক ব্যবসায়ীর হাতে নির্মমভাবে খুন যুবক গাজীপুরে এনা পরিবহনের বেপরোয়া বাসের ধাক্কায় অটোযাত্রীর মৃত্যু উপজেলা উন্নয়ন কমিটির অফিসে লুটপাটের অভিযোগ রাজবাড়ী: বিশ্ব শিক্ষক দিবসে ৭ গুণী শিক্ষকের সম্মাননা স্মারক প্রদান শহীদ ফেলানী হলের ছাত্রীদের অসন্তুষ্টি, বৈষম্যমূলক সুবিধা নিয়ে অভিযোগ

শহীদ ফেলানী হলের ছাত্রীদের অসন্তুষ্টি, বৈষম্যমূলক সুবিধা নিয়ে অভিযোগ

মিরাজ হুসেন প্লাবন

বেরোবি প্রতিনিধি

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) একমাত্র মেয়েদের আবাসিক হল শহীদ ফেলানী নানান সমস্যায় জর্জরিত বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য হলে যেসব সুবিধা থাকে, শহীদ ফেলানী হলে তা সীমিত থাকায় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, শহীদ ফেলানী হলে আসন সংখ্যা ৩৪৩, অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট নারী শিক্ষার্থী প্রায় তিন হাজারের বেশি। এই তুলনায় মেয়েদের জন্য হলের সংখ্যা মাত্র দুটি, যার মধ্যে একটি বিশেষ প্রকল্পের মেয়েদের জন্য নির্মাণাধীন।

হলের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন—

৪ সিট ও ৮ সিটের কক্ষের ভাড়া এক হলেও ৮ সিটের কক্ষে একটি বেড দুই শিক্ষার্থীকে ভাগাভাগি করতে হয়। ছোট বিছানায় দুজন মিলে থাকতে হয় এবং একটি টেবিল-চেয়ারও ভাগাভোগ করতে হয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি ও অস্বস্তি তৈরি হয়।

রাত সাড়ে ৮টায় গেট বন্ধ হওয়ায় টিউশনি শেষে হলে ফেরার সময় সমস্যা হয়।

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাইরের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

পরিচ্ছন্নতাকর্মীর নিয়মিত অনুপস্থিতি এবং নষ্ট সরঞ্জাম দীর্ঘদিন মেরামত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বাড়ছে।

আবাসিক শিক্ষার্থী মনিসা আক্তার বলেন, “হলে কোনো গেস্ট রুম নেই। বাড়ি থেকে কেউ আসলে বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলতে হয়, যা অস্বস্তিকর। লাইট-ফ্যান নষ্ট হলেও বারবার অভিযোগ দেওয়ার পরও ঠিক করা হয় না। খাবারের মান খারাপ, অথচ সিট ভাড়াও অন্যদের তুলনায় বেশি।”

অন্য শিক্ষার্থী আতিকা ঊর্মি জানান, “ডাইনিংয়ের খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। পর্যাপ্ত প্লেট, বাটি, গ্লাস নেই। ভর্তুকি দেওয়া হলে ভালো হতো। রিডিং রুম খুব জরুরি, বিশেষ করে পরীক্ষার সময় পড়ার জায়গা পাওয়া যায় না।”

হল প্রভোস্ট সিফাত রুমানা বলেন, “হল আমাদের নীতিমালা অনুযায়ী চলছে। ডাবল করে সবাইকে প্রথমে থাকতে হয়, পরে সিঙ্গেল করা হয়। গেট সাড়ে ৮টায় বন্ধ করা হয়, এটাও হলের নীতিমালা অনুযায়ী।”

তিনি আরও জানান, “গেস্ট রুমের ব্যবস্থা হল অফিসের সঙ্গে নিচতলায় করা হবে এবং কাজ চলমান আছে।”


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন