July 30, 2025, 4:26 pm
শিরোনাম :
মুন্সিগঞ্জে অবৈধ বালু উত্তোলনে গ্রামবাসীর ধাওয়া, ড্রেজারে আগুন! স্কুলের সামনে হাঁটুসমান পানি—দুর্ভোগে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা! সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিলেন সমন্বয়ক — বললেন, ভুল করিনি! জামালপুরের ইসলামপুরে বিভাগীয় কমিশনারের মতবিনিময় সভা টঙ্গীতে ড্রেনে পড়ে নিখোঁজ নারী, ৩৬ ঘণ্টা পর মিললো মরদেহ কেশবপুরে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবীদের ইসলামি ছাত্র শিবিরের সংবর্ধনা লাশ লাগলে লাশ নে, বাজেট দে”—উত্তাল রংপুর মডার্ন মোড় রাজবাড়ীর মুচিদহ গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে নির্মম হত্যাকাণ্ড বগুড়ায় আকাশে উড়ার স্বপ্নভঙ্গ: জুলাই শেষ, নেই বাণিজ্যিক ফ্লাইট! ভোলায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতাকে বিয়ের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর অনশন

“এই দিন চিরকাল থাকবে না, সামনে আরও ভালো দিন অপেক্ষা করছে বলে জানান কামরুল ইসলাম।”

মিরাজ হুসেন প্লাবন

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “এই দিন দিন নয়, সামনে ভালো দিন আসবে। সব দিন তো একরকম যায় না।”

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নিউমার্কেট থানার ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানিতে এজলাসে এ কথা বলেন তিনি। সকাল ৯টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত কামরুল ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

রিমান্ড শুনানির এক পর্যায়ে বক্তব্যের সুযোগ পেয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, তার এলাকা কেরানীগঞ্জ, নিউমার্কেট এলাকা তার আওতাধীন নয়। তিনি ওই এলাকার সংসদ সদস্যও নন। মামলায় তাকে ভুলবশত ৫৬ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও জানান, তিনি সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা বারের আজীবন সদস্য এবং কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক দিদার অভিযোগ করেন, কামরুল ইসলাম বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিলেন। এ অভিযোগের জবাবে কামরুল বলেন, “সব দিন তো একরকম যায় না। এই দিন দিন নয়, সামনে ভালো দিন আসবে।” তার এ মন্তব্যে আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে আদালত তার বিরুদ্ধে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং পুলিশের চাওয়া ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। এ সময় আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন, তবে তা আদালত নামঞ্জুর করেন।

এর আগে, সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। কামরুল ইসলাম ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং এর আগে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন