July 19, 2025, 3:38 pm
শিরোনাম :
“চিকিৎসকদের অবহেলা ও ভুল সিদ্ধান্তে রোগীর মৃত্যু হৃদয় হত্যার রহস্য উদঘাটন: জুয়া, প্রতারণা ও নির্মম শ্বাসরোধ মাদ্রাসা ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথেই থেমে গেল তিন শিশুর জীবন ভাড়াটে লোক এনে জমি দখলের চেষ্টা, এবার রাতের আঁধারে সন্ত্রাসী হামলা হেলমেট না থাকলে মাথা উড়েই যেত-চাঁদার দাবিতে চাপাতির কোপ রাজবাড়ীর ইয়াবা সম্রাট ইসহাক গ্রেফতার, ৪৫০ পিস ইয়াবাসহ বেরোবিতে শহিদ আবু সাঈদ স্মরণে বিতর্ক প্রতিযোগিতার উদ্বোধন এফবিসিসিআই নির্বাচন: আতিকুর রহমানের পক্ষে গণজোয়ার শেরপুর সীমান্তে নারী-শিশুসহ ১০ বাংলাদেশিকে পুশইন করল বিএসএফ ১৫ বছর ধরে চালিয়ে গেছেন প্রতারণা -অবশেষে পুলিশের জালে ধরা

“এই দিন চিরকাল থাকবে না, সামনে আরও ভালো দিন অপেক্ষা করছে বলে জানান কামরুল ইসলাম।”

মিরাজ হুসেন প্লাবন

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কামরুল ইসলাম আদালতে দাঁড়িয়ে বলেছেন, “এই দিন দিন নয়, সামনে ভালো দিন আসবে। সব দিন তো একরকম যায় না।”

মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) নিউমার্কেট থানার ব্যবসায়ী ওয়াদুদ হত্যা মামলার রিমান্ড শুনানিতে এজলাসে এ কথা বলেন তিনি। সকাল ৯টার দিকে গ্রেপ্তারকৃত কামরুল ইসলামকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

রিমান্ড শুনানির এক পর্যায়ে বক্তব্যের সুযোগ পেয়ে কামরুল ইসলাম বলেন, তার এলাকা কেরানীগঞ্জ, নিউমার্কেট এলাকা তার আওতাধীন নয়। তিনি ওই এলাকার সংসদ সদস্যও নন। মামলায় তাকে ভুলবশত ৫৬ নম্বর আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে দাবি করেন। তিনি আরও জানান, তিনি সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা বারের আজীবন সদস্য এবং কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক দিদার অভিযোগ করেন, কামরুল ইসলাম বিভিন্ন হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং শেখ হাসিনার সঙ্গে ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছিলেন। এ অভিযোগের জবাবে কামরুল বলেন, “সব দিন তো একরকম যায় না। এই দিন দিন নয়, সামনে ভালো দিন আসবে।” তার এ মন্তব্যে আদালতে উপস্থিত আইনজীবীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে আদালত তার বিরুদ্ধে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন এবং পুলিশের চাওয়া ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়। এ সময় আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিনের আবেদন করেন, তবে তা আদালত নামঞ্জুর করেন।

এর আগে, সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। উল্লেখ্য, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। কামরুল ইসলাম ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এবং এর আগে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন