বিশেষ প্রতিনিধি: মো. ইপাজ খাঁ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার এক তরুণী বিয়ের জন্য বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ঢাকায় পরিচারিকার কাজ করে জমানো টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথেই অটোরিকশাচালক ও তার সহযোগীদের লালসার শিকার হন।
ঘটনার বিবরণ:
গত বুধবার রাতে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এই ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরুণী বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। শনিবার চুনারুঘাট থানায় তাঁর মা বাদী হয়ে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নবীগঞ্জ উপজেলার দুই তরুণী ঢাকায় পরিচারিকার কাজ করতেন। সম্পর্কে তাঁরা চাচাতো বোন। তাঁদের মধ্যে একজনের বিয়ে ঠিক হয়েছিল এবং সেই উপলক্ষে তাঁরা বাড়ি ফিরছিলেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা থেকে বাসযোগে শায়েস্তাগঞ্জ পৌঁছানোর পর তাঁরা একটি অটোরিকশা ভাড়া করেন।
পথে চালক অটোরিকশায় আরও তিনজন তরুণকে তুলে নেয়। তরুণীরা এর প্রতিবাদ করলে চালক বলেন, তারা সামনে নেমে যাবে। এরপর চালক মহাসড়ক ছেড়ে অন্য রাস্তায় ঢুকে পড়ে। পরে চুনারুঘাট উপজেলার নির্জন স্থানে অটোরিকশা থামিয়ে ১৮ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় এবং ১৭ বছরের তরুণীকে লাঞ্ছিত ও ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়। চিৎকার শুনে হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে ১৭ বছরের তরুণী তাঁর চাচাতো বোনকে উদ্ধার করে কাছের এক গ্রামে আশ্রয় নেন।
পরদিন বৃহস্পতিবার তাঁরা বাড়ি ফিরে পরিবারের কাছে ঘটনা জানান। মানসম্মানের ভয়ে দুই দিন নীরব থাকার পর অবশেষে ধর্ষিতার মা মামলা করেন। মামলায় অটোরিকশাচালকসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
পরিবারের প্রতিক্রিয়া:
ধর্ষিতার মা জানান, তাঁর মেয়ের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক ছিল। ঢাকায় পরিচারিকার কাজ করে জমানো ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে এ নির্মম ঘটনার শিকার হয় তাঁর মেয়ে। এই ঘটনার ফলে তাঁদের স্বপ্ন ভেঙে গেছে।
পুলিশের অবস্থান:
চুনারুঘাট থানার ওসি নূর আলম জানান, অটোরিকশাচালকসহ অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পারভেজ মিয়া (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অটোরিকশাচালককেও শনাক্ত করা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।