জুনেদ আহমদ(রুনু), ছাতক, সুনামগঞ্জ:
ছাতকের হাওড় অঞ্চলে পৌষ-মাঘ মাসের সঙ্গে সঙ্গে ব্যাপক কুয়াশা পড়েছে, যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ানোর কারণে কৃষক এবং নির্মাণ শ্রমিকেরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। হিমশীতল ভোরে তাদের প্রতিদিন কাজে বের হতে হয়, যার ফলে শীতজনিত রোগ যেমন সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও অন্যান্য জটিল রোগ বাড়ছে।
উপজেলার অধিকাংশ স্থানীয় হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ঔষধের ফার্মেসীগুলোতে রোগীর ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। শিশু, কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতি, বয়স্ক পুরুষ-মহিলা সকলেই ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন।
শীতকালীন সবজি এবং মৌসুমী ফসলের আবাদে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে, এবং প্রকৃতিতে পানি শূন্যতা দেখা দিয়েছে। বোরোধান এবং শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকদের অতিরিক্ত খরচ বাড়ছে।
সরজমিনে হাওড়ে গিয়ে দেখা গেছে, বোরোক্ষেত্রে কাজ করা সাদিক নামের এক হতদরিদ্র বর্গাচাষী বলেন, “কি বলবো ভাই, মনের কষ্টের কথা। প্রচন্ড শীতের মাঝে পাতলা সুয়েটার পড়ে কাজ করতে আসছি। টাকার অভাবে উষ্ণ কাপড় কিনে পড়তে পারছিনা। প্রতিদিন পানি সেচ দিতে হয় জমিতে।”
এছাড়া শীতের কারণে গ্রামীণ হাটবাজারে লোকজনের সমাগম কম থাকায় পণ্য কেনাবেচা কম হচ্ছে। শিশু এবং বয়োবৃদ্ধারা শরীর উষ্ণ করতে খর কুটু দিয়ে আগুন জালিয়ে গাঁ গরম করছেন।
এমন পরিস্থিতি আরও কয়েকদিন চলতে থাকলে সাধারণ মানুষের কষ্ট আরও বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।