রংপুর জেলা প্রতিনিধি :
বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা বন্ধ করলো প্রতিবেশী প্রতিপক্ষরা। থানায় অভিযোগ দিয়েও মিলছে না সমাধান। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাস্তা খুলে দিলেও দুই ঘন্টা পর পুনরায় বন্ধ করে দিয়েছে।ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা টুকুরিয়া ইউনিয়নের তরফ মৌজা গ্রামো।
থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় তরফ মৌজা গ্রামের আনসার আলী পুত্র রানা মিয়া (৩০) তার স্ত্রী শারমিন বেগমের মাধ্যমে বিবাদী একই গ্রামে মনজুর হোসেনের পুত্র রুবেল মিয়া, মনোয়ার হোসেনের পুত্র মাসুদ মিয়া, রবিউল ইসলামের স্ত্রী রাবেয়া বেগম, কামরুল ইসলাম এর স্ত্রী শামসুন্নাহার বেগম, মাসুদ মিয়া স্ত্রী শরিফা বেগম, মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ফতে বেগম, রুবেল মিয়ার স্ত্রী শাবানা বেগম অভিযুক্ত ব্যক্তিগণ জোকসাজস করে রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে অভিযোগকারী কে পিটিয়ে জখম করে।
জানা যায় পারিবারিক মনোমালিন্য থাকার কারণে বিবাদীগণ যাওয়া আসার রাস্তা বন্ধ করলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মন্ডল বন্ধ করা রাস্তা খুলে দেয়।
চেয়ারম্যান রাস্তা খুলে দেওয়ার পর তিনি সেখান থেকে চলে যাওয়ার পুনরায় অভিযুক্তরা টিন ও ইট দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ঐদিন বিকেলে অভিযোগকারী বন্ধ রাস্তার উপর দিয়ে বাহির হওয়ার চেষ্টা করলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিবাদীগণ লোহার রড লাঠি সোটা বাহির করে
এ সময় বাদী রানা মিয়াকে বটি দিয়ে মাথায় চোট দেয়। এ সময় তার স্ত্রী শারমিন বেগম আগাইয়া ছিলেন তাকেও এলো পাথাড়ী মার ডাং করে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে স্থানীয় লোকজন অটো ভ্যান যোগে পীরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। বেশ কয়েকদিন চিকিৎসার পর তারা বাড়িতে ফিরে যায়। বর্তমানে তাদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা নাই। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দিলেও পুলিশ ব্যবস্থা নিতে গড়িমশি করছে বলে অভিযোগকারীরা জানান। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের বিট পুলিশ অফিসার কে ফোন দেওয়া হলেও ফোনটা রিসিভ করা হয়নি।#মহ/বাংলার তরী