পঞ্চগড়র বোদা উপজেলার সাকোয়া ইউনিয়নের বারোঘড়ীয়া-শিকারপুর নামাক গ্রামে গতকাল ০১জুলাই সোমবার সকাল ১১ঘটিকায় স্ত্রী লতা আক্তারের শরীরে ডিজেল ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন স্বামী মহব্বত আলী। লতা আক্তার চিৎকার করলে এলাকাবাসী এসে পনি দিয়ে আগুন নিভিয়ে ঠাকুরগাঁও মেডিকেলে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা গণমাধ্যমকে জানায়, মহব্বতের তিন সন্তান থাকা সত্ত্বেও একই গ্রামের মাহাবুরের স্ত্রী রাসিদা বেগমকে চার মাস পর্বে পালিয়ে নিয়ে যায়। একমাস বাাহিরে থাকার পরে রাসিদাকে ভাড়া বাড়িতে রেখে বাড়িতে আসে মহব্বত আলী। স্ত্রীর অনুমতি না নিয়ে বিয়ে করার দায়ে একটি মামলা করেছিল লতা আক্তার।
মহব্বত আলীর একটি ছেলে, দুটি মেয়ে শিশু সন্তান রয়েছে, ছেলে লাবিব জানায়, আমার মাকে ডিজেল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।আমাদের মহেন্দ্র গাড়ি রয়েছে তেলের ড্রাম ঘরেই রয়েছে।
লতা আক্তার গণমাধ্যমকে জানায়,আমার স্বামী চার মাস পর্বে রমজান মাসে একই গ্রামের নিঃসন্তান থাকা রাশিদা বেগমকে নিয়ে পালিয়ে যায়। এক মাস পর বাড়ীতে আসলে থাকেনি একদিনও
রাসিদাকে নিয়ে থাকতেন ভাড়া বাসায়। আমার একটি ছেলে দুটি মেয়ে রয়েছে। ঈদের দিনেও থাকেনি আমার বাসায়। আমি নিজেই তিন দিন আগে ভাড়া বাসায় গিয়ে আমার স্বামী, ও রাসিদাকে আমার বাসায় নিয়ে আসি। কিন্তু আমার তিন সন্তান ও আমাকে মেনে নিতে না পেরে রাতে পালিয়ে যায় রাশিদা। এ নিয়ে আমার স্বামী সকালে এসে আমাকে মারপিট করে সংঘাত সৃষ্টি হয়। আমি বকাবকি করলে ঘরে গিয়ে আমার শরীরে ড্রমে থাকা ডিজেল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়।
লতা আক্তার বলেন এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর সুষ্ঠু বিচার চাই। লতা বর্তমানে ঠাকুরগাঁও মেডিকেলে চতুর্থতলা সার্জারী বিভাগে ২৩ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে।