তরিকুল ইসলাম, বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি
📌 এ সময় ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টরা নিজেদের অধিকার আদায়ে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন এবং সরকারের কাছে সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টস (বিএসিবি), “ফ্যাসিস্ট রেজিমের” শাসনামলে প্রস্তাবিত স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ-২০২৪ এর বৈষম্যমূলক ধারা সংশোধনসহ সাত দফা দাবি জানিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে।
শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো জানানো হয়, যেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর।
বৈষম্যমূলক ধারার বিরুদ্ধে ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টদের দাবি
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টস (বিএসিবি) তাদের দাবিতে বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা আইনে থাকা ধারাটি, যেখানে শুধু চিকিৎসকদের সিগনেচার থাকা বাধ্যতামূলক, তা বায়োকেমিস্টদের প্রতি দীর্ঘদিনের বৈষম্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে। এ ধরনের সিদ্ধান্তে ল্যাবরেটরি টেস্টের মানের অবনতি ঘটতে পারে এবং এটি অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক বলেও তারা অভিমত প্রকাশ করেন।
বায়োকেমিস্টদের অবস্থান বিশ্বব্যাপী
ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিস্টরা বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে অবদান রেখে আসছেন এবং তাদের স্ব-স্ব ক্ষেত্রে কাজের গুরুত্ব তুলে ধরেন। ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আমেরিকা সহ বহু দেশে বায়োকেমিস্টদের টেস্ট রিপোর্টে স্বাক্ষরের অধিকার রয়েছে। এই অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে তারা সরকারের কাছে সংশোধন প্রস্তাব করেন।
অনলাইনে একাত্মতা প্রকাশ
সংবাদ সম্মেলনে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর এবং বিএসিবি নেতারা বক্তব্য রাখেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা অনলাইনে যুক্ত হয়ে বায়োকেমিস্টদের দাবির পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান দাবী করেন।