মোহনগঞ্জ (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে টাকার বিনিময়ে অবৈধভাবে সেচ সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কৃষকদের সেচ সংযোগ পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হলেও, অবৈধভাবে নিয়ম লঙ্ঘন করে অনেকে সহজেই সংযোগ পাচ্ছেন, যা বিদ্যুৎ ব্যবস্থার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মোহনগঞ্জ উপজেলার ৫ নং সমাজ সহিলদেও ইউনিয়নের রামজীবনপুর ব্রিজ সংলগ্ন মেদি পাথরকাটা গ্রামে একটি সেচ সংযোগ অনিয়মের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে। সেডবিহীন গোয়াল ঘরের পাশে স্থাপিত মিটার থেকে লম্বা সংযোগ ক্যাবল বাড়ির পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, যা নিয়মবহির্ভূত ও ঝুঁকিপূর্ণ।
মিটার গ্রাহক মো. জুয়েল আকন্দ জানান, “পল্লী বিদ্যুৎ অফিস থেকেই এই সংযোগ দেওয়া হয়েছে।” অথচ নিয়ম অনুযায়ী খুঁটি থেকে ১৩০ ফুটের মধ্যে বোরিং ও মিটার স্থাপনের কথা থাকলেও এখানে তা প্রায় ২০০ ফুট দূরে স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, মিটার স্থাপিত জায়গাটিও গ্রাহকের নিজের নয়, ফলে এই অনুমোদনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, সংযোগ অনুমোদন পেতে ইঞ্জিনিয়ার ও ওয়্যারিং ইন্সপেক্টরের পরামর্শে নির্ধারিত দূরত্বের মধ্যে একটি ‘ফলস বোরিং’ দেখানো হয়েছিল। পরে সংযোগ নিশ্চিত হওয়ার পর সেটি সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া হয়, যা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানলেও অফিসিয়ালভাবে স্বীকার করেননি।
এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ জোনাল অফিসের ডি.জি.এম-এর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এ.জি.এম. কম্প্লায়েন্স জানান, “এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” যদিও পূর্বের অভিযোগের ভিত্তিতে এখনো কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বহাল তবিয়তে রয়েছেন।
স্থানীয়রা পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের এ ধরনের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।