বেনাপোল বাজারে কাঁচামরিচ ও সবজির বাড়তি দাম ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বেনাপোল বাজারে এক মাস ধরে বাড়তি দর অব্যাহত রয়েছে।
আমদানি বন্ধ না থাকলেও বেনাপোল বাজারে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। সবজি ও কাঁচামরিচের এমন বাড়তি দাম রমজান মাসেও দেখা যায়নি। ঈদুল আজহার ছুটিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজিতে।
সপ্তাহব্যাপী আমদানি বন্ধ থাকার পর ঈদ শেষে যথারীতি কাঁচামরিচের আমদানি শুরু হয়। ঈদের পরে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ২০০ থেকে ২৬০ টাকা কেজিতে। ঈদের দু’ সপ্তাহ পরে কিছুটা দাম কমলেও এখনো রয়েছে দু’শতকের ঘরেই। এখনো কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে। কাঁচামরিচের ঝাঁজ ও সবজির বাড়তি দাম ভোগাচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
বাড়তি টাকা গুণতে হচ্ছে সবজি কিনতে আসা ক্রেতাদের। বৃষ্টির কারণে কাঁচামরিচের দাম কমছে না বলছেন সবজি বিক্রেতারা। অন্যদিকে, গত এক মাস ধরে সবজির বাজারও চড়া। বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে। রমজান মাসেও
এমন বাড়তি দাম দেখা যায়নি সবজির বাজারে। গত এক মাস ধরে সস্তার সবজি পেঁপে বিক্রি হচ্ছে অবিশ্বাস্য দামে। জুন মাসে পেঁপে সর্বোচ্চ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়। যা এখনো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। কাঁচকলাও বিক্রি শুরু হয় বাড়তি দামে। গত মাস থেকে এ মাস পর্যন্ত কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে।
বর্তমানে উচ্ছের দাম আকাশ ছোঁয়া।
বুধবার ৩জুলাই সকালে বাজার ঘুরে প্রতি কেজি উচ্ছে বিক্রি হয় ১২০টাকা কেজিতে। এ ছাড়া, পিয়াজ ৯০ টাকা, বেগুন ৮০ থেকে ১০০, বরবটি ১২০, কচুরমুখি, ঝিঙ্গে ও কাঁকরোল ৮০, কচুরলতি ৮০ থেকে ১০০, লাউ, চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স ৬০, পটল ৩০, টমেটো ১২০ ও গাজর ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে,আলু বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। বাজারে মজুত স্বাভাবিক থাকলেও সবজির এমন বাড়তি দামে ক্রেতা অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বেনাপোল কলেজের শিক্ষার্থী আলমগীর বলেন, মেসে থাকায় নিয়মিত বাজার করতে হয়। বাজারে এলে বাজেট মেলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। সাদিপুর রোজিনা আক্তার বলেন, বাজার করা একটা বাড়তি ঝক্কি মনে হয়। আলুর এমন অস্বাভাবিক দাম ভাবা যায় না। বাজারের পাশে দুর্গাপুর এনামুল হক বলেন, দু’কেজি আলু কিনেছি ১২০ টাকায়। অথচ বাজারে আলুর কোন সংকট নেই। তবু এমন অস্বাভাবিক দাম।
বাজারের সবজি বিক্রেতা শুকুর আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজি ও কাঁচামরিচের চালান কম আসছে, সরবরাহ কমে গেছে। তাই দাম কমছে না। আরেক বিক্রেতা হযরত আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে মাঠে কাঁচামরিচ পচে যাচ্ছে, তাই দাম কমছে না। সবজি বিক্রেতা সুশীল সাহা বলেন, কাঁচামরিচ বাড়তি দামে কিনে এনে বিক্রি করছি। আমরাও জানি না, আমদানি হওয়ার পরেও আমদানি কারকদের কারসাজির জন্য কাঁচামরিচের দাম কমছে না।