প্রতিবেদক: মো. শামসুল আলম
ইসলামপুর, জামালপুর :
জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার সাপধরী ইউনিয়নে যমুনার দুটি শাখা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে চারটি গ্রাম। ইতোমধ্যেই ভাঙনের কবলে পড়েছে শত শত বসতভিটা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও ফসলি জমি।
জানা গেছে, যমুনা নদীর একটি শাখা ইসলামপুরের বেলগাছা পয়েন্ট থেকে উৎপত্তি হয়ে সাপধরী ইউনিয়নের বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে সরাসরি মূল যমুনায় মিশেছে। অপর শাখাটি প্রবাহিত হচ্ছে সাপধরীর পশ্চিম সীমান্ত ঘেঁষে সারিয়াকান্দির চালুয়াবাড়ী পয়েন্ট থেকে।
গত কয়েক বছর ধরেই এই দুই শাখা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাপধরীর প্রজাপতি, কাশারীডোবা, আকন্দপাড়া, মন্ডলপাড়া, শিশুয়া ও বিশরশি গ্রামের মানুষ। বিশেষ করে কাশারীডোবা ও আকন্দপাড়ায় চলতি বর্ষা মৌসুম শুরুর আগেই নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার মুখে পড়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক পরিবার, দুইটি বাজার, চারটি স্কুল, পাঁচটি মসজিদ ও শত শত একর ফসলি জমি।
সাপধরীর পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবাহিত অপর শাখা নদীর তীরে গত বন্যায় বিশরশি গ্রামটির সিংহভাগই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এবছরও বর্ষার আগে থেকেই নতুন করে দেখা দিয়েছে ভয়াবহ ভাঙন। দক্ষিণ শিশুয়া, মন্ডলপাড়া ও বিশরশি এলাকার পরিস্থিতিও উদ্বেগজনক।
স্থানীয় সাংবাদিক আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “প্রতিবারই ভাঙনের শিকার হয়ে আমরা নিঃস্ব হচ্ছি। দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে এই চারটি গ্রাম পুরোপুরি যমুনায় বিলীন হয়ে যাবে।”
সাপধরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম মন্ডল জানান, “দুইটি শাখা নদীর চারটি ভয়াবহ ভাঙন পয়েন্টে অবিলম্বে বালি ভর্তী জিও ব্যাগ ফেলে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। অন্যথায় এবছরেই নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে চারটি গ্রামসহ বিশাল জনপদ।”
স্থানীয়দের দাবি, সরকার ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি হস্তক্ষেপ ছাড়া সাপধরী ইউনিয়নের এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা না নিলে চরম মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।