নীলফামারী প্রতিনিধি:
বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে, বিশেষ করে রংপুর বিভাগের আট জেলায় বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। ঈদুল আজহার পর থেকে এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা জনজীবনকে চরমভাবে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৫ ডিগ্রি এবং আজ ৩৬.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েক দিন ধরে আকাশে নেই মেঘের দেখা, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনাও। কাঠফাটা রোদে হাঁসফাঁস করছে মানুষ ও প্রাণিকুল।
ডিমলার তিস্তা নদীবিধৌত ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে পুর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, গয়াবাড়ী, টেপাখড়িবাড়ী, খালিশা চাপানী ও ঝুনাগাছ চাপানী চরাঞ্চল ঘেরা হওয়ায় তাপপ্রবাহের প্রভাব সেখানে আরও তীব্র। চরের বালুতে হাঁটতে গিয়ে অনেকের পা পুড়ে ফসকা পর্যন্ত উঠছে।
পুর্বছাতনাই ইউনিয়নের বাসিন্দা নিজাম উদ্দিন বলেন, “এরকম রোদ জীবনে দেখি নাই। রোদে বের হলে গা পুড়ে যায়, কাজকাম করা একেবারে অসম্ভব হয়ে উঠেছে।”
গয়াবাড়ী ইউপির মাহাবুব হোসেন জানান, “সকালে কিছুটা কাজ করা গেলেও দুপুরের পর পানিও এমন গরম হয়ে যায় যে, তাতে কাজ করা যায় না।”
চর খড়িবাড়ির বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, “বেলা ১১টা পার হলেই বালু এত গরম হয়ে যায় যে খালি পায়ে হাঁটাও যায় না। মানুষ, পশু-পাখি সবাই কাহিল হয়ে পড়েছে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ—তীব্র গরমে তাদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হলেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পর্যাপ্ত উদ্যোগ বা সহায়তা দেখা যায়নি। সবাই চেয়ে আছে স্বস্তির বৃষ্টির দিকে।