মিজানুর রহমান মিলন,
শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়া জেলার শাজাহানপুর উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের আড়িয়া বাজারে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বছরের পর বছর ধরে মহাসড়কের উপরেই বসছে সাপ্তাহিক হাটবাজার। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা, তৈরি হচ্ছে যানজট, এবং দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারী, যাত্রী ও চাকরিজীবীরা।
এই আড়িয়া বাজার শুধু শাজাহানপুর নয়, পার্শ্ববর্তী ধুনট উপজেলার বেড়েরবাড়ী এবং মাঝিড়া সেনানিবাস এলাকায় বসবাসরত চাকরিজীবীদের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। প্রতিদিন অসংখ্য সিএনজি, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, ট্রাক ও বাস চলাচল করে এই সড়কে। কিন্তু হাটবারে—সোমবার ও বৃহস্পতিবার—সড়কের উপরেই বসে কাঁচাবাজারসহ অন্যান্য দোকান। এতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল।
গত শুক্রবার (২৭ জুন) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁচা তরিতরকারির দোকানগুলো পুরোদমে সড়কের উপর বসানো হয়েছে। ফলে পুরো রাস্তাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে যানজট, আর পথচারীদের চলাচল হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ।
স্থানীয় কৃতি সন্তান ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) বগুড়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশীদ মামুন বলেন, “মাঝিড়া ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় সবচেয়ে বেশি চাকরিজীবী মানুষ বসবাস করেন। সেনানিবাসের কারণে আড়িয়া বাজারে এমনিতেই ভিড় বেশি থাকে, তার উপর সড়কের ওপর বাজার বসানোয় জনসমাগম আরও বেড়ে গেছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা বাড়ছে। দ্রুত বাজারটি সড়ক থেকে সরিয়ে অন্য কোথাও স্থানান্তরের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।”
এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও বগুড়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক শাহীন বলেন, “সড়কে হাট না বসানোর বিষয়ে হাইকোর্টের নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু জায়গার সংকুলান না থাকায় নয়মাইল হাট বড় হওয়ার সাথে সাথে সড়কের দিকেই বাজার বসে যাচ্ছে। আড়িয়া বাজারেও একই অবস্থা। তবে প্রশাসনের কাছে কেউ এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে বলে আমার জানা নেই। যদি সমস্যা থাকে, তাহলে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এদিকে স্থানীয়দের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে চলা এ অনিয়ম বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে দুর্ঘটনা আরও বাড়বে এবং সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে পৌঁছাবে।