মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি,
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)-এর বহর সম্প্রসারণে দেশের ইতিহাসে অন্যতম বড় নৌযান নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় গজারিয়ার থ্রি-এ্যাঙ্গেল মেরিন শিপইয়ার্ডে নির্মিত হচ্ছে ১৮টি আধুনিক জলযান। এ প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে সোমবার (৪ আগস্ট) শিপইয়ার্ডটি পরিদর্শন করেছেন সরকারের দুই উপদেষ্টা।
পরিদর্শনে ছিলেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাতের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তারা সরেজমিনে নির্মাণকাজ পর্যবেক্ষণ করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বিআইডব্লিউটিসির বহরে নতুন প্রযুক্তিনির্ভর নৌযান সংযোজন একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। কিছু কারিগরি সমস্যায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহ শুরু না হলেও আশা করা যাচ্ছে, আগামী সেপ্টেম্বর থেকেই হস্তান্তরের কাজ শুরু হবে।”
থ্রি-এ্যাঙ্গেল শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম জানান, “আমরা দ্রুত শেষ ধাপে কাজ করছি। আগামী নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ধাপে ধাপে সব নৌযান হস্তান্তরের আশা করছি।”
এই প্রকল্পে বিআইডব্লিউটিসির জন্য যেসব জলযান তৈরি হচ্ছে, তার মধ্যে রয়েছে:
৬টি ফেরি
২টি ফায়ার ফাইটিং টাগবোট
২টি উপকূলীয় তেলবাহী জাহাজ
৪টি দ্রুতগতির সি-ট্রাক
৩টি যাত্রী পরিবহন যান
১টি বিশেষায়িত পরিদর্শন বোট
পরিদর্শনের সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিসির চেয়ারম্যান সলিম উল্লাহ, প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক জিয়াউল ইসলাম, মুন্সিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ফাতেমা তুল জান্নাত, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার, গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল আলম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ডা. হামিদা মুস্তফা।
প্রসঙ্গত, বিআইডব্লিউটিসির জন্য দীর্ঘদিন পর এত বড় পরিসরে আধুনিক নৌযান নির্মাণ হচ্ছে, যা বাস্তবায়িত হলে দেশের নৌপথে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন আরও কার্যকর ও গতিশীল হবে বলে আশা করা হচ্ছে।