আক্কাছ আলী, মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার আড়িয়ল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল হালদারের অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে আবেদন করেছেন ওই পরিষদের অধিকাংশ সদস্য। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) ইউনিয়নের ১০ জন সদস্য স্বাক্ষরিত রেজুলেশনসহ জেলা প্রশাসকের কাছে এই আবেদন জমা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসক বরাবর জমা দেওয়া অনুলিপি থেকে জানা গেছে, পরিষদের ১২ সদস্যের মধ্যে ১০ জন চেয়ারম্যান দুলাল হালদারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে স্বাক্ষর করেছেন। অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, চেয়ারম্যান তার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন না করায় ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ সেবা পেতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। পরিষদ সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে না বলেও অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এছাড়া, চেয়ারম্যান দীর্ঘদিন বিদেশে অবস্থান করায় ইউনিয়নের জনসাধারণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তিনি ৭ মাস ধরে বিদেশে ছিলেন এবং দেশে ফিরে এখনো পরিষদের সদস্যদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেননি। নিয়ম অনুযায়ী চেয়ারম্যানের প্যানেল গঠন করার বিধান থাকলেও তিনি তা পালন করেননি বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. এখলাছ বলেন,
“আমাদের চেয়ারম্যান বিদেশে থাকেন, তাকে আমরা পাই না। তিনি ৭ মাস আগে বিদেশ গিয়েছিলেন এবং দুদিন আগে দেশে ফিরেছেন। কিন্তু এখনো পরিষদে আসেননি বা কোনো যোগাযোগ করেননি। এই পরিস্থিতিতে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ কোনো সেবা পাচ্ছে না। তাই আমরা তার বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছি এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে অপসারণের আবেদন করেছি।”
অভিযোগের বিষয়ে চেয়ারম্যান দুলাল হালদার বলেন,
“কিছু ইউপি সদস্য বিভিন্ন দপ্তরে কাগজপত্র নিয়ে দৌড়ঝাঁপ করছেন বলে শুনেছি। তবে আমি কোনো নোটিশ পাইনি। আইন অনুযায়ী যা হওয়ার তা-ই হবে।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,
“আমিও শুনেছি যে চেয়ারম্যানের অপসারণ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে দরখাস্ত করা হয়েছে। তবে এখনো আমার কাছে এর কোনো অনুলিপি আসেনি।”
চেয়ারম্যান দুলাল হালদারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তার ভবিষ্যৎ কার্যক্রম আইন অনুযায়ী নির্ধারিত হবে। পরিষদের সদস্যদের একত্রিত অভিযোগ এবং চেয়ারম্যানের নিরবতা আড়িয়ল ইউনিয়নের প্রশাসনিক কাঠামোয় বিশৃঙ্খলার ইঙ্গিত দেয়। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন কী পদক্ষেপ নেয় তা এখন দেখার বিষয়।