রাজবাড়ী প্রতিনিধি:
রাজবাড়ীর পাংশায় দলীয় অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে বিএনপির পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে দলের এক পক্ষের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মাছপাড়া বাজারে ইউনিয়ন যুবদল ও ছাত্রদলের (হারুন গ্রুপ) অফিসে এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই মাছপাড়ায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে। ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী মো. আশরাফুল ইসলাম (হারুন গ্রুপ) ও চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মিয়া (সাবু গ্রুপ) সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। এর জের ধরেই সোমবার রাতে সাবু গ্রুপের নেতা-কর্মীরা হারুন গ্রুপের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাছপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির কর্মী ও ওয়ার্ড মেম্বার প্রার্থী মো. লুৎফর রহমান অভিযোগ করে বলেন,
“প্রতিপক্ষ (সাবু গ্রুপ) আমাদের নেতা হারুন ভাইয়ের ছবি থাকায় পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। শুধু তাই নয়, নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবি ছিঁড়ে ফেলেছে। অফিসে থাকা চেয়ার, সাউন্ড বক্স, কম্পিউটার ও রাউটার লুট করা হয়েছে।”
ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পদপ্রত্যাশী মো. আশরাফুল ইসলাম (হারুন গ্রুপ) বলেন,
“চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মিয়া ব্যক্তি কোন্দলের জের ধরে আমাদের পার্টি অফিস ভাঙচুর করেছে। আমি বিষয়টি উপজেলা বিএনপির নেতাদের জানিয়েছি।”
অন্যদিকে, ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম মিয়া (সাবু গ্রুপ) অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,
“বিএনপির অফিসের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল যুবক সেখানে আড্ডা দিতো এবং চাঁদাবাজি করতো। তাই আমার লোকজন সেই অফিস ভেঙে দিয়েছে।”
পাংশা মডেল থানার ওসি (তদন্ত) রাসেদুল ইসলাম জানান,
“বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি।”
বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দল থেকে দলীয় অফিস ভাঙচুরের এই ঘটনা এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো পক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।