December 23, 2024, 4:19 am
শিরোনাম :
বশেমুরবিপ্রবিতে ছাত্র আন্দোলনে উস্কানিদাতা উপ-রেজিস্ট্রার গ্রেফতার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে রক্তদান সংগঠন “ব্রুবা”র উদ্বোধন মুন্সীগঞ্জ গজারিয়ায় পুলিশ সদস্যকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা বগুড়ার ধুনটে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী থেকে ছেলে রূপান্তর: নাম রাখা হয়েছে ওমর ফারুক শ্রাবণ টঙ্গিবাড়ীতে বিক্রমপুর মুন্সীগঞ্জ কল্যাণ সমিতির শীতবস্ত্র বিতরণ মুন্সীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ: ৫ জন গুলিবিদ্ধ, আহত ১০ গাজীপুরে বোতাম কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ !! বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতকালীন ছুটিতে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ আজ বছরের দীর্ঘতম রাত

চাকরি হারাচ্ছেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা, ভাতাও ফেরত দিতে হবে !!

মোঃ নিজামুল ইসলাম

মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি নিয়ে কর্মরতদের তালিকা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৮৪ হাজার ৫৬ জনের তথ্য পাওয়া গেছে। অভিযোগ রয়েছে, তাদের মধ্যে বেশ কিছু আছেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। তারা ভুয়া সনদ তৈরি করে চাকরি নিয়েছেন। তাদের চাকরি থেকে বাদ দিতে তালিকা করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এছাড়া সারাদেশে মুক্তিযোদ্ধার ভাতাভোগীদের মধ্যে কারা ভুয়া, সে তালিকাও করা হচ্ছে। ভাতা হিসেবে তারা যে টাকা পেয়েছেন, সেই অর্থ ফেরত নেওয়া হবে। যাদের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদে চাকরি নেওয়ার প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

জনপ্রসাশন থেকে জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে বেসামরিক প্রশাসনে এখন ১৪ লাখ ৪৩ হাজার ৫১৮ জন কর্মরত। তাদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরি নিয়ে কর্মরত ৮৪ হাজার ৫৬ জন। এ হিসাবে ৫ দশমিক ৮২ শতাংশ কর্মচারী মুক্তিযোদ্ধা কোটার।

এর আগে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম গত আগস্ট মাসে মুক্তিযোদ্ধা কোটার চাকরিধারীদের তালিকা করার নির্দেশনা দেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিরতদের তথ্য জানাতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে চিঠি দেয়।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, এ পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে পাঠানো তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় সরকারি চাকরি নিয়ে কর্মরত ৮৪ হাজার ৫৬ জন। তবে দু-একটি দপ্তর থেকে এখনো তথ্য পাওয়া যায়নি। সে তথ্য আসার পর এ সংখ্যা কিছুটা বাড়তে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আসা তালিকার অর্ধেক যাচাই করা হয়েছে। এর মধ্যে অনেকের মুক্তিযোদ্ধার সনদ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কতজনের সনদ পাওয়া যায়নি, সে সংখ্যা আলাদা করা হয়নি। সব তালিকা যাচাইয়ের পর এসব তথ্য আলাদা করা হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ তাদের অধীন প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৫৬ জন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে থাকার তালিকা দিয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জনের সনদের তথ্য পায়নি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। বেশ কয়েকজনের সনদে থাকা নামে ভুল এবং কয়েকজনের নাম সনদে পাওয়া গেলেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমে (এমআইএস) পাওয়া যায়নি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী বলেন, ভুয়া সনদে যারা চাকরি নিয়েছেন, তাদের শাস্তি হতেই হবে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং যে যে মন্ত্রণালয়ের অধীনে চাকরি নিয়েছেন, সে মন্ত্রণালয়কে জানাব। বিধিগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হবে। ভুয়া সনদ তৈরি করে যারা আর্থিক সুবিধা নিয়েছেন, তা ফেরত নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সরকারি চাকরিতে কোটাপদ্ধতি সংশোধনের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে সরকার কোটাপদ্ধতি সংশোধন করলেও পরে তা সরকার পতনের ১ দফার আন্দোলনে রূপ নেয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা।

শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের পর সরকারি চাকরিতে এখন মেধায় ৯৩ শতাংশ; মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা রয়েছে। গত ২৩ জুলাই কোটাপদ্ধতি সংশোধনের আগে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যদের জন্য ৩০ শতাংশসহ ৫৬ শতাংশ কোটাধারীদের জন্য বরাদ্দ ছিল। তবে কখনই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্যরা ১০ শতাংশের বেশি নিয়োজিত ছিলেন না বলে জানা গেছে।

সুত্রঃ একুশে টেলিভিশন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন