ডা. তৌহিদুজ্জামান (তৌহিদ মুন্সী) শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জের মানুষের কাছে শুধু একজন চিকিৎসক নন, বরং একজন সমাজসেবক, মানবিক ব্যক্তিত্ব ও আশার প্রতীক। গরিব-দুঃখীদের চিকিৎসা সেবা এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে তিনি এই অঞ্চলের মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন।
১৯৭৫ সালের ২৯ নভেম্বর শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চরআত্রা মুন্সী পরিবারে জন্মগ্রহণ করা তৌহিদ মুন্সী, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষা উন্নয়নে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছেন। তাঁর বাবার মতো তিনিও মানুষের সেবায় জীবন উৎসর্গ করেছেন।
ডা. তৌহিদ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কাজ করার পর বর্তমানে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। তিনি তাঁর সরকারি চাকরির বেতন থেকে অধিকাংশই মানুষের সেবায় ব্যয় করেন। নিজের কোনো চেম্বার না থাকলেও যেখানে দাঁড়ান, সেখানেই রোগীদের ভিড়ে চেম্বারে পরিণত হয়।
তৌহিদ মুন্সীর মা সখিনা মুন্সীর নামে তিনি চরআত্রা সখিনা মুন্সী আদর্শ মহিলা মাদ্রাসা ও চরআত্রা দারুল উলুম হাফিজিয়া নূরানী মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি চরআত্রা আজিজিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সভাপতিও।
মানব সেবাকে জীবনের ব্রত হিসেবে গ্রহণ করে তিনি অসহায় মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর এই মহৎ কর্মধারা এবং চরাঞ্চলের উন্নয়নে অবদান সমাজে আলোকিত মানুষের উদাহরণ তৈরি করেছে।
তাঁর মতো একজন মানবিক ব্যক্তিত্ব আজকের সমাজে অত্যন্ত প্রয়োজন। ডা. তৌহিদ মুন্সী মানব সেবার মাধ্যমে একটি আলোকিত সমাজ গঠনে বিশ্বাসী এবং এভাবেই তিনি শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জের মানুষের কাছে ‘আশার আলো’ হিসেবে পরিচিত।