August 6, 2025, 7:40 pm
শিরোনাম :
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে কেশবপুরে বিএনপির বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণ-অভ্যুত্থান দিবসে উত্তেজনা, দুই পক্ষের ধস্তাধস্তি! রাতে দোকান বন্ধ থাকা অবস্থায় ঘটে চুরির ঘটনা মুন্সিগঞ্জে আলু চাষিরা দুশ্চিন্তায়: দাম কম, উৎপাদন খরচ ওঠেনা শহীদ পরিবারের পাশে সরকারি কর্মকর্তারা আধুনিক জলযান নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনে সরকারের দুই উপদেষ্টা রূপনগরে সবুজ বিপ্লব: জুলাই শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ঢাকা-১৪-এ আস্থার ঢেউ: মুন্সি আঞ্জুকে ঘিরে গণজোয়ার যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার সম্পুর্ণ খরচ দেবে বিল গেটস স্কলারশিপ, আবেদন চলছে রাজবাড়ীতে ৩১ কৃতি শিক্ষার্থী পেল এসইডিপি সম্মাননা ও অর্থ সহায়তা

হিন্দু থেকে নব মুসলিম হওয়ার পর একাধিক আবেদন করেও আশ্রয় হয়নি রুনা বেগমের

Md Al-Mamun

হিন্দু থেকে নব মুসলিম হওয়ার পর একাধিক আবেদন করেও আশ্রয় হয়নি রুনা বেগমের

আল- মামুন,বগুড়া প্রতিনিধিঃ

জিনিস পাতির যা দাম যে টুকু ইনকাম হয় তা দিয়ে কোন রকমে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি, আর ছেলে মেয়ের চিকিৎস্যার টাকা কই পাই আর ছেলে মেয়ের লেখা পড়া করাবো কী দিয়ে। গরীবের সংসার কোনমতে দিনকাল যাচ্ছে।

রুনা বেগম বগুড়া জেলার সোনাতলা পৌরসভার শাহবাজপুর গ্রামে একটি ঝুপড়ি ঘড়ে বসবাস করছেন৷ মঙ্গলবার ( ৭ই জানুয়ারি ) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঝুপড়ি ঘর করে বসবাস করছেন তারা। অভাবের সংসারে সাজু মিয়া ও তার ২ সন্তান বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ায় শারীরিকভাবে অক্ষম ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে যুদ্ধ করে চলছে তাদের জীবন। ছেলে মেয়েরা বড় হলেও অর্থাভাবে যেতে পারছে না বিদ্যালয়ে।

কিন্তু তাদের থাকার মতো ছোট ওই ঘরে নেই পর্যাপ্ত জায়গা। স্থানীয় বাসিন্দা দুলা মিয়া ও আয়শা বেগম বলেন, একটা মেয়ে আর একটা ছেলে নিয়ে নিদারুণ কষ্টে আছে রুনা বেগম। এই ঘরে থাকার মতো অবস্থা নাই। তার স্বামীর মাথায় সমস্যা। বাচ্চারা বাড়িতে না খেয়ে থাকলেও খবর নেওয়ার কেউ নেই।

যদি সরকার বা কোনো বিত্তবান লোক এগিয়ে আসতো তাহলে রুনা বেগম ভালোভাবে থাকতে পারতেন। প্রতিবেশী নুরজাহান বেগম বলেন, রুনা বেগম সন্তানদের নিয়ে এখন খুবই কষ্টে দিনাতিপাত করছেন। একটি মাত্র ঘর, তাও আবার ভাঙাচোরা। একদম বসবাস অনুপযোগী। এমন ঘর আমাদের এলাকায় নেই।

সরকারি কিংবা কোনো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান তাকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিলে ভালো হতো। ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার নিশ্চয়তা পেত। রুনা বেগম বলেন, স্বামী সন্তান নিয়ে খুব কষ্টে আছি। কী খাই, কিভাবে দিন যায় বলতে পারি না। এক আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না আমাদের কষ্ট।

আর কাউকে বোঝাতেও পারি না। কোনোদিন একবেলা খাই, বাকি দুইবেলা না খেয়ে থাকি। বর্ষাকাল আসছে এখন না ঘুমিয়ে রাত পার করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে আমাদের রক্ষা হবে। সোনাতলা পৌরসভার মেম্বর হারুন বলেন, আমি রুনা বেগম ও সাজু দম্পতির খবরজানি।

সাজু মিয়া ভেনচিরঘাট বাজারে মাঝেমধ্যে দেখা যায়কেউ কিছু দিলে সে বাড়ি বাজার করে নিয়ে যায়। তাদের ঝুপড়ি ঘরের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে আলাপ করব। এ ছাড়া সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আনব।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


আমাদের পেজ লাইক করুন