সুমন আহমদ, সিলেট প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ও বালিউরা বাজারে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে রোববার (১ জুন) নরসিংপুর বাজার এবং সোমবার (২ জুন) বালিউরা বাজারে হাটে দেখা গেছে দেশি গরুর সরবরাহ। তবে এখনো কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে বেচাকেনা হয়নি বলে জানাচ্ছেন গরু বিক্রেতারা।
দেশি গরুর আধিক্য, বেচাকেনা কিছুটা ধীরগতি
বৃষ্টি উপেক্ষা করেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা গরু নিয়ে হাজির হন হাটে। সারিবদ্ধভাবে সাজানো গরু দেখে বৃষ্টির বিরতির পর ভিড় করেন ক্রেতারা। তারা গরু দেখে পছন্দ করে শুরু করেন দরদাম। কিন্তু বিক্রেতারা বলছেন, দাম তুলনামূলকভাবে কম হলেও এখনো কেনাবেচা তেমন জমে ওঠেনি।
বিক্রেতাদের আশাবাদ
একজন বিক্রেতা বলেন,
“গরুর দাম এখন কম, কিন্তু অনেকেই কিনছেন না। ঈদের এখনও পাঁচদিন বাকি। শেষ মুহূর্তে হাট জমবে বলে আশা করছি।”
অন্য এক বিক্রেতা জানান,
“আমরা অনেক কষ্ট করে গরু নিয়ে এসেছি। এখনো বেচতে পারছি না। আশা করছি আগামী বুধবার বা বৃহস্পতিবারে বড় বিক্রি হবে।”
ক্রেতাদের মতামত
ক্রেতারা বলছেন,
“এখনো ঈদের অনেক বাকি। গরু কিনে রাখার জায়গা নেই। তাই দাম যাচাই করে যাচ্ছি। শেষের দিকে দর ভালো পেলে কিনব।”
হাটের নিরাপত্তা ও দাম
হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,
হাটে রয়েছে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। প্রতিটি গরুর জন্য এক হাজার টাকা আসিল ফি নেওয়া হচ্ছে। গরুর দাম সর্বনিম্ন ৪০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকার মধ্যে থাকছে।
তবে বিক্রেতারা মনে করছেন, শেষ সময়ের আগে বড় বেচাকেনা আশা করা ঠিক নয়।
“আমরা আশা করছি, বুধবার-木স্পতিবার হাটে বেচাকেনা দ্বিগুণ হবে।” — বলেন একজন হাট ইজারাদার।
—প্রস্তুত: মিরাজ হুসেন প্লাবন
রিপোর্টিং ডেস্ক, আগামী সকাল