ধর্ম ডেস্ক | আগামী সকাল,
ইসলামে কোরবানি একটি নির্দিষ্ট ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, যা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে কেবল মুসলিমদের দ্বারা সম্পাদিত হতে হয়। এই ইবাদতের জন্য নির্ধারিত রয়েছে কিছু মৌলিক শর্ত—তার অন্যতম হলো কোরবানির পশু অবশ্যই মুসলিমের মালিকানাধীন হতে হবে।
ইসলামী শরিয়তের দৃষ্টিতে, অমুসলিমের পালিত পশু দ্বারা কোরবানি করা বৈধ নয়। কারণ এতে ইবাদতের মূল উপাদান—নিয়ত ও মালিকানায় ঘাটতি দেখা দেয়, যা কোরবানির গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট করে দিতে পারে।
🟩 কোরবানির পশুর মালিক হতে হবে মুসলিম
ইসলামি আইন অনুযায়ী, কোরবানির পশু অবশ্যই মুসলিম মালিকের হতে হবে। অমুসলিমের পশু ব্যবহারে নিয়ত ও শরিয়ত সম্মত ব্যবস্থাপনায় জটিলতা তৈরি হয়। তাই তা শরিয়তসম্মত নয়।
🛐 নিয়তের বিশুদ্ধতা অপরিহার্য
কোরবানি শুধু একটি সামাজিক রীতি নয়, এটি একান্তভাবে আল্লাহর জন্য নিবেদিত ইবাদত। তাই এর পেছনে থাকতে হবে খাঁটি নিয়ত, যা একজন মুসলিমই পূরণ করতে পারেন। অমুসলিমের মালিকানায় থাকা পশুর মাধ্যমে সেই নিয়ত বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
✅ শরিয়তের শর্ত পূরণে মুসলিম মালিক প্রয়োজন
কোরবানির পশুর বয়স, স্বাস্থ্য ও শারীরিক গঠনসহ একাধিক শর্ত শরিয়তে নির্ধারিত রয়েছে। এসব নিশ্চিত করা যায় শুধুমাত্র একজন ধর্মভীরু মুসলিম মালিকের তত্ত্বাবধানে। অমুসলিম মালিকের পশুতে এসবের নিশ্চয়তা থাকে না।
⚠️ শরিয়তের বিধান অমান্য করা ইবাদত নষ্ট করতে পারে
ইবাদতের ক্ষেত্রে সামান্যতম ভুলও ইবাদতকে অগ্রহণযোগ্য করে দিতে পারে। তাই ফিকাহ বিশেষজ্ঞগণ এ বিষয়ে একমত—অমুসলিমের পশু দিয়ে কোরবানি জায়েজ নয় এবং তা থেকে ইবাদতের উদ্দেশ্য পূরণ হবে না।
🔚 উপসংহার
কোরবানি একটি পবিত্র ইবাদত, যার পেছনে থাকতে হবে সঠিক নিয়ত, বৈধ উপার্জনে ক্রয়কৃত পশু এবং ইসলামী নিয়মে পালন। তাই মুসলিমদের উচিত কোরবানি দেওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা এবং শরিয়তসম্মতভাবে নিজ মালিকানাধীন পশু দ্বারা কোরবানি সম্পন্ন করা।
📿 আল্লাহ যেন আমাদের সবাইকে শুদ্ধ নিয়ত ও শরিয়তসম্মতভাবে ইবাদত করার তাওফিক দেন। আমিন।